বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত? এই আর্টিকেলে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি প্রধানমন্ত্রীর বেতন নির্ধারণের পদ্ধতি, ভাতা এবং সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি আপনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন সম্পর্কে সঠিক ও আপডেট তথ্য প্রদান করবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বেতন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা :

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশের সর্বোচ্চ নির্বাচিত পদের অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী দেশের মন্ত্রিপরিষদের নেতা হিসেবে দেশের রাজনৈতিক, আর্থিক, সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে সর্বোপরি দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাজ করার জন্য তাদের বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত এবং তাদের কি কি সুবিধা পায়।

 তা জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এই আর্টিকেলে আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত এর সম্পর্কে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির বেতন কত এ সম্পর্কে। এমপির বেতন কত। বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন কত। চেয়ারম্যানের বেতন কত। মেম্বারের বেতন কত ২০২৪। বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেলটি কেমন হতে যাচ্ছে তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন কোন অংশ মিস করবেন না।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

এ আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। চলুন শুরু করা যাক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা, যিনি ২০০৯ সাল থেকে এই পদে কার্যরত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মন্ত্রিপরিষদের নেতা। প্রধানমন্ত্রীর কাজ হলো সরকারের নীতি ও কর্মসূচি নির্ধারণ করা, মন্ত্রীদের নিয়োগ।

 ও বরখাস্ত করা, রাষ্ট্রপতির সাথে সমন্বয় করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং সরকারের কার্যক্রমের নিরীক্ষণ ও নির্দেশনা দেওয়া।প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পান, যেমন বেতন, ভাতা, তহবিল, গাড়ি, বাসভবন, ভ্রমণ, বীমা, নিরাপত্তা প্রহরী ইত্যাদি। এই সুযোগ-সুবিধাগুলোর মান ও পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় বাংলাদেশের।

 আইন অনুযায়ী। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বেতন ও সুবিধাগুলোর বিবরণ নিম্নরূপ:বেতন: প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতন মাসে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া তিনি মাসিক বাড়ি ভাড়া হিসেবে এক লাখ টাকা ও দৈনিক ভাতা হিসেবে তিন হাজার টাকা পান। তহবিল: প্রধানমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল হলো একবারে ১০ লাখ টাকা, যেটি তিনি নিজের ইচ্ছামত ব্যয় করতে পারেন।
এছাড়া তিনি মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৭৫ হাজার টাকা পান। গাড়ি: প্রধানমন্ত্রীর সরকারি খরচে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি থাকে, যার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করে। ঢাকার বাইরে অফিসিয়াল ট্যুরের জন্য তিনি অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি পান, যার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করে। বাসভবন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হলো গণভবন, যেটি ঢাকার শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত।

 এটি একটি সুরক্ষিত ও আধুনিক ভবন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান, কার্যালয় ও অতিথি কক্ষ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিনা ভাড়ায় এই ভবনে বসবাস করেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোনসহ ভবনটির যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ সরকার বহন করে। 

বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির বেতন কত এ সম্পর্কে জানুন 

আর্টিকেলের শুরুতে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। এখন জানবো বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির বেতন কত।বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের সর্বোচ্চ পদস্থ ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সংবিধানের অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স হতে হবে।

 এবং সংসদের সদস্য হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন এবং একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার রাষ্ট্রপতি হতে পারেন।বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তারা কত বেতন পান এবং তাদের কি কি সুবিধা রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ুন আমাদের এই আর্টিকেলটি।বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বেতন নির্ধারণ করা হয়।

দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) আইন, ১৯৭৫ এর অনুযায়ী। এই আইনের মধ্যে বারবার সংশোধন করা হয়েছে এবং সর্বশেষ সংশোধন করা হয়েছে ২০১৬ সালে। এই সংশোধনের অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মূল বেতন মাসে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এই টাকা আয়করমুক্ত। আগে এই বেতন ছিল ৬১ হাজার ২০০ টাকা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সুবিধা কি কি?বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তারা নিচের সুবিধা পান:আপ্যায়নের (এন্টারটেইনমেন্ট) জন্য বছরে ভাতা পান। এই টাকার নিরীক্ষা হবে না।রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি বাসভবন (বঙ্গভবন) থাকবে, যার সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে সরকার।

 স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা পাবেন।রাষ্ট্রপতি অফিশিয়াল কাজে দেশের বাইরে গেলে সরকার নির্ধারিত ভাতা পাবেন। রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন তহবিল বছরে দুই কোটি টাকা। 

 এমপির বেতন কত এ সম্পর্কে জানুন 

এর আগে আর্টিকেলে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। এখন জানবো এমপির বেতন কত। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য বা এমপি হলেন দেশের সর্বোচ্চ নির্বাচিত পদের একজন। এমপিরা দেশের আইন প্রণয়ন, সরকারের কার্যক্রম নিরীক্ষণ ও নির্দেশনা দেওয়া, জনগণের সমস্যা ও অভিযোগ শুনে সমাধান করা এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার দায়িত্ব পালন করেন।

এমপিরা তাদের কাজের জন্য বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান। কিন্তু আপনি কি জানেন বাংলাদেশের এমপির বেতন কত? এই আর্টিকেলে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর দেব এবং এমপির সাথে সাথে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে তথ্য দেব।বাংলাদেশের এমপির বেতন নির্ধারণ করে।

 দ্য মেম্বারস অব পার্লিয়ামেন্ট (রেমুনারেশন অ্যান্ড এলাউয়েন্সেস) অ্যাক্ট, ২০১৪’ নামের একটি আইন। এই আইন অনুযায়ী, একজন এমপির মাসিক বেতন ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া এমপিরা নিম্নলিখিত ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান:দৈনিক ভাতা: সংসদের সভা অথবা কমিটির সভা অংশগ্রহণের জন্য প্রতিদিন ২০০০ টাকা।মাসিক ভাড়া ভাতা।

ঢাকায় বাসবাসের জন্য মাসে ৮০ হাজার টাকা।মাসিক বাড়ি ব্যবস্থাপনা ভাতা: বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মচারীর বেতন ও সেবা খাতের বিলের জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা।মাসিক নিয়ামক ভাতা: সংসদের সভা অথবা কমিটির সভা অংশগ্রহণের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা। মাসিক মোবাইল ফোন ভাতা: মোবাইল ফোনের বিল ও ইন্টারনেটের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

আর্টিকেলের শুরুতে আমরা আলোচনা করে জানতে পেরেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। এখন জানবো বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন কত।বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন কতো এবং তারা কি কি সুযোগ-সুবিধা পান, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অনেকেই আগ্রহী। বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করে।

 দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৬ নামে একটি আইন। এই আইনের অনুযায়ী, বাংলাদেশে একজন মন্ত্রীর মাসিক বেতন এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রীর বেতন ৯২ হাজার টাকা এবং উপমন্ত্রীর বেতন ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা।

 মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী কাউকেই তাদের বেতনের জন্য কোন কর দিতে হয় না। এ ছাড়া তারা আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা পান। যেমন- দৈনিক ভাতা দুই হাজার টাকা।নিয়ামক ভাতা মাসিক ১০ হাজার টাকা।স্বেচ্ছাধীন তহবিল ১০ লাখ টাকা।মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারি খরচে সার্বক্ষণিক গাড়ি। 

ঢাকার বাইরে অফিসিয়াল ট্যুরের জন্য অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি পাবেন, যার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে।সরকারি খরচে রেল ভ্রমণ ও বিদেশ ভ্রমণ।বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসভবন: গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোনসহ ভবনটির যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ সরকার বহন করবে।বিমান ভ্রমণের জন্য বীমা সুবিধা আট লাখ টাকা। 

সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী এবং সরকারি বাসায় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র। সরকারি বাসায় বসবাস না করলে বাড়ি ভাড়া বাবদ ৮০ হাজার টাকা, সেই সঙ্গে বাড়ি ব্যবস্থাপনা খরচ ও সব ধরণের সেবা খাতের বিল। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হতে হয়। 

চেয়ারম্যানের বেতন কত এ সম্পর্কে জানুন 

এর আগের আর্টিকেলে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। এখন জানবো চেয়ারম্যানের বেতন কত। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে যে সকল চেয়ারম্যান দায়িত্ব রয়েছেন তাদের বেতন কত তা জানা অনেকের কাছে আগ্রহের বিষয়। চেয়ারম্যান হলেন একজন স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতা যিনি তার নির্দিষ্ট এলাকার।

 জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। চেয়ারম্যান হতে পারেন ইউনিয়ন পরিষদের, উপজেলা পরিষদের বা জেলা পরিষদের। এই পোস্টে আমরা এই তিন ধরনের চেয়ারম্যানের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বেতন:ইউনিয়ন পরিষদ হলো বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান থাকেন যিনি তার এলাকার জনগণের সামাজিক, আর্থিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য যোগ্যতা হলো সর্বনিম্ন এসএসসি পাস এবং ২৫ বছরের বয়স। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য প্রার্থীরা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণের।

 ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বেতন বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০০ টাকা। এছাড়াও তারা অন্যান্য ভাতা ওষুধের সুবিধা সমূহ পেয়ে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বেতন প্রতি বছর সরকারের নির্ধারিত হারে বৃদ্ধি করা হয়।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বেতন:উপজেলা পরিষদ।

 হলো বাংলাদেশের মধ্যবর্তী স্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রতিটি উপজেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান থাকেন যিনি তার এলাকার জনগণের সামাজিক, আর্থিক ও শিক্ষাগত উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য যোগ্যতা হলো সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস এবং ২৫ বছরের বয়স। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য প্রার্থীরা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।

মেম্বার এর বেতন কত ২০২৪ এ সম্পর্কে জানুন 

এর আগে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। এখন জানবো মেম্বার এর বেতন কত ২০২৪।মেম্বার হলেন একজন সংসদ সদস্য যিনি একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। মেম্বার হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হবে, বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং কোন অপরাধে দোষী প্রমাণিত না হতে হবে।

মেম্বার হিসেবে একজন ব্যক্তি সংসদের বৈঠকে অংশ নিতে পারেন, আইন পাস করতে পারেন, সরকারের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন এবং বাজেট নিয়ে মতামত দিতে পারেন।মেম্বার হিসেবে একজন ব্যক্তি বেতন এবং বিভিন্ন ভাতা পান। বেতন হলো একটি নির্ধারিত টাকা যা মাসের শেষে প্রদান করা হয়। ভাতা হলো একটি অতিরিক্ত টাকা যা মেম্বার এর বিভিন্ন খরচের জন্য প্রদান করা হয়।

 ভাতা এর মধ্যে আছে বাসভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টেলিফোন ভাতা, বিদ্যুৎ ভাতা, পানি ভাতা, নিবন্ধন ভাতা, সম্মাননা ভাতা এবং অন্যান্য।মেম্বার এর বেতন এবং ভাতা নির্ধারণ করা হয় সংসদ সদস্য বেতন কমিশন এর মাধ্যমে। এই কমিশন হলো একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যা সংসদ সদস্যদের বেতন এবং ভাতা সম্পর্কে সুপারিশ করে।

এই কমিশন এর সদস্য হলো সরকারের নির্বাচিত ব্যক্তি, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অন্যান্য। এই কমিশন প্রতি পাঁচ বছর পর পর বেতন এবং ভাতা নির্ধারণ করে।সর্বশেষ বেতন কমিশন এর সুপারিশ অনুযায়ী, মেম্বার এর বেতন কত ২০২৪ এ হলো মাসিক ৮০,০০০ টাকা। 

এছাড়া, মেম্বার এর ভাতা কত ২০২৪ এ হলো মাসিক ১৫,০০,০০০ টাকা। তাই, মেম্বার এর মোট আয় কত ২০২৪ এ হলো মাসিক ৯৫,০০,০০০ টাকা। এই বেতন এবং ভাতা এর উপর কর কাটা হয় সরকারের নির্ধারিত হারে।এই বেতন এবং ভাতা এর পাশাপাশি, মেম্বার রা আরও কিছু সুবিধা পান। যেমন, মেম্বার রা পান সংসদ ভবনের মধ্যে একটি বিশেষ কক্ষ, যেখানে তারা বিশ্রাম করতে পারেন। 

পৌরসভার মেয়রের বেতন কত এ সম্পর্কে জানুন 

আর্টিকেলের প্রথমে আমরা জেনেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। এখন জানবো পৌরসভার মেয়রের বেতন কত। পৌরসভা হলো একটি স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান, যা একটি নির্দিষ্ট এলাকার জনগণের সামাজিক, আর্থিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে। পৌরসভার প্রধান কর্তা হলো মেয়র, যিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। মেয়র হিসেবে কাজ করার জন্য তিনি একটি মাসিক সম্মানী পান। 

এই আর্টিকেলে আমরা জানবো পৌরসভার মেয়রের বেতন কত এবং তার কাজ কি।পৌরসভার মেয়রের বেতন কত?পৌরসভার মেয়রের বেতন তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। এই শ্রেণীগুলি হলো ক, খ ও গ। এই শ্রেণীগুলি পৌরসভার আয়, জনসংখ্যা, বিস্তার ও উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। সরকার সময় সময় এই শ্রেণীগুলি পরিবর্তন করে থাকে।

 সরকার সম্প্রতি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী বৃদ্ধি করেছে। এখন পৌরসভার মেয়রের বেতন নিচের মতো হয়েছে। ক শ্রেণীর পৌরসভার মেয়রের বেতন ৩৮ হাজার টাকা ও কাউন্সিলরদের বেতন ৮ হাজার টাকা।খ শ্রেণীর পৌরসভার মেয়রের বেতন ২৮ হাজার টাকা ও কাউন্সিলরদের বেতন ৭ হাজার টাকা।

গ শ্রেণীর পৌরসভার মেয়রের বেতন ২৪ হাজার টাকা ও কাউন্সিলরদের বেতন ৬ হাজার টাকা।এছাড়া আগের মতো সকল ধরনের ভাতা, প্রণোদনা, আবাসন, গাড়ি, ফোন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধাগুলির মান পৌরসভার শ্রেণী, আয় ও বিস্তারের উপর নির্ভর করে।
শেষকথা : প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটি পড়ে  আপনি জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন কত। আরো জানতে পেরেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির বেতন কত।এমপির বেতন কত।বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বেতন কত। চেয়ারম্যানের বেতন কত।মেম্বার এর বেতন কত ২০২৪।পৌরসভার মেয়রের বেতন কত।

আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটি পরে অনেক সময় জানতে ও শিখতে পেরেছেন।এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু ও আত্মীয়দের কাছে শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url