ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায় এ সম্পর্কে জানুন

আপনি কি জানেন ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায় ? এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে বিভিন্ন উপায় এবং টুল সম্পর্কে বলবো, যা আপনার ল্যাপটপকে একটি টিভি রূপান্তরিত করবে। এই টিপগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার পছন্দের টিভি চ্যানেল এবং শো দেখতে পারবেন।
ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায় এ সম্পর্কে জানুন
কিভাবে ইন্টারনেট ছাড়া টিভি দেখা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা : 

আপনি আপনার ল্যাপটপে টিভি দেখতে চান? এটা একটা দারুণ বিষয়, কারণ এতে আপনি আপনার পছন্দের চ্যানেল বা অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনোদন উপভোগ করতে পারেন। এই আর্টিকেলটি আপনাকে বলবে কিভাবে আপনি আপনার ল্যাপটপে টিভি দেখতে পারেন সহজেই কয়েকটি উপায়ের মাধ্যমে।

এ আর্টিকেলে আরো থাকছে কিভাবে ইন্টারনেট ছাড়া টিভি দেখা যায়।মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার উপায়। বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেল।স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স।বিটিভি লাইসেন্স লিস্ট।বিটিআরসি আইএসপি লাইসেন্স তালিকা।

ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায় এ সম্পর্কে জানুন

এই আর্টিকেলটিতে আমরা ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।আপনি কি ল্যাপটপ ব্যবহার করে টিভি দেখতে চান? তাহলে আপনার জন্য একটি ভালো খবর আছে। আপনি খুব সহজেই ল্যাপটপে টিভি দেখতে পারেন যদি আপনার ল্যাপটপে একটি টিউনার কার্ড থাকে অথবা আপনি একটি বাহ্যিক টিউনার কার্ড কিনে ল্যাপটপের সাথে যুক্ত করেন।

এছাড়া আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করেও ল্যাপটপে টিভি দেখতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে ল্যাপটপে টিভি দেখার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বলব।ল্যাপটপে টিউনার কার্ড দিয়ে টিভি দেখা।টিউনার কার্ড হলো একটি ডিভাইস যা টিভি সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং ল্যাপটপে টিভি দেখার জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার চালায়।

 টিউনার কার্ড দুই প্রকারের হতে পারে - অন্তর্নিহিত অথবা বাহ্যিক। অন্তর্নিহিত টিউনার কার্ড হলো যেটি ল্যাপটপের মধ্যে থাকে এবং বাহ্যিক টিউনার কার্ড হলো যেটি ল্যাপটপের সাথে ইউএসবি পোর্ট বা অন্য কোন পোর্ট দিয়ে যুক্ত করা হয়।যদি আপনার ল্যাপটপে একটি অন্তর্নিহিত টিউনার কার্ড থাকে তাহলে আপনাকে শুধু একটি এন্টেনা কিনে ল্যাপটপের সাথে যুক্ত করতে হবে।
এন্টেনা হতে পারে একটি রুম এন্টেনা অথবা একটি রুফ এন্টেনা। রুম এন্টেনা হলো যেটি ল্যাপটপের কাছাকাছি রাখা যায় এবং রুফ এন্টেনা হলো যেটি ছাদে রাখা হয়। রুফ এন্টেনা দিয়ে আপনি আরও ভালো সিগন্যাল পেতে পারেন।মযদি আপনার ল্যাপটপে কোন অন্তর্নিহিত টিউনার কার্ড না থাকে তাহলে আপনাকে একটি বাহ্যিক টিউনার কার্ড কিনে ল্যাপটপের সাথে যুক্ত করতে হবে।

বাহ্যিক টিউনার কার্ড হতে পারে একটি ইউএসবি টিউনার কার্ড অথবা একটি পিসিআই টিউনার কার্ড। ইউএসবি টিউনার কার্ড হলো যেটি ল্যাপটপের সাথে ইউএসবি পোর্ট দিয়ে যুক্ত করা হয় এবং পিসিআই টিউনার কার্ড হলো যেটি ল্যাপটপের সাথে পিসিআই পোর্ট দিয়ে যুক্ত করা হয়। ইউএসবি টিউনার কার্ড আরও সহজে পাওয়া যায়।

কিভাবে ইন্টারনেট ছাড়া টিভি দেখে যায় এ সম্পর্কে জানুন।

এর আগের আর্টিকেলে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায়। এখন জানবো কিভাবে ইন্টারনেট ছাড়া টিভি দেখা যায়। আমরা সবাই টিভি দেখতে পছন্দ করি, কিন্তু কখনও কখনও ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে আমরা আমাদের পছন্দের চ্যানেল বা প্রোগ্রাম দেখতে পারি না। এই সমস্যার সমাধান কি?

 আমরা কি ইন্টারনেট ছাড়া টিভি দেখতে পারবো? উত্তর হলো, হ্যাঁ, আমরা পারবো। এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে কিছু উপায় বলবো যা আপনি ব্যবহার করে ইন্টারনেট ছাড়া টিভি দেখতে পারবেন।উপায় ১: এন্টেনা ব্যবহার করুন একটি সহজ এবং সস্তা উপায় হলো আপনার টিভির সাথে একটি এন্টেনা সংযুক্ত করা।

 এন্টেনা হলো একটি ডিভাইস যা বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে সম্প্রেষিত টিভি সিগন্যাল গ্রহণ করে। এন্টেনা ব্যবহার করে আপনি আপনার এলাকার লোকাল চ্যানেল দেখতে পারবেন, যেমন খবর, বিনোদন, খেলা, শিক্ষা ইত্যাদি। এন্টেনা আপনার টিভির মডেল, রকম, এবং আপনার বাসা যে কোন দিকে থাকে তার উপর নির্ভর করে।
 
আপনি একটি ইনডোর বা আউটডোর এন্টেনা কিনতে পারেন, যা আপনার টিভির সাথে ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে। এন্টেনা আপনার নিকটতম ইলেকট্রনিক্স দোকান থেকে কিনতে পারেন, বা অনলাইন অর্ডার করতে পারেন।উপায় ২: ডিভিডি প্লেয়ার বা ব্লু-রে প্লেয়ার ব্যবহার করুনআরেকটি উপায় হলো আপনার টিভির সাথে একটি ডিভিডি প্লেয়ার বা ব্লু-রে প্লেয়ার সংযুক্ত করা।

 এই ডিভাইসগুলো আপনাকে ডিভিডি বা ব্লু-রে ডিস্ক থেকে টিভি শো, মুভি, ডকুমেন্টারি, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি চালাতে দেয়। আপনি আপনার পছন্দের ডিভিডি বা ব্লু-রে ডিস্ক কিনতে পারেন, বা আপনার বন্ধু বা পরিবার থেকে ধার করতে পারেন। ডিভিডি প্লেয়ার বা ব্লু-রে প্লেয়ার আপনার টিভির সাথে এইচডিএমআই বা আরসিএ ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।

মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার উপায় এ সম্পর্কে জানুন

আর্টিকেলের শুরুতে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায়। এখন জানবো মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার উপায়।টিভি দেখা আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টিভি দেখে আমরা বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম, খেলা, সংবাদ, মনোরঞ্জন, শিক্ষা এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু সব সময় আমরা টিভি দেখতে পারি না। 

কারণ আমরা ব্যস্ত থাকি, বাড়ি থেকে বাহিরে থাকি, বিদ্যুৎ না থাকা এবং অন্যান্য কারণে। এই সমস্যার সমাধান হলো মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখা।মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার জন্য আমাদের কিছু জিনিস লাগবে। যেমন:একটি স্মার্টফোন একটি ইন্টারনেট কানেকশন (ওয়াইফাই বা মোবাইল ডেটা)একটি টিভি অ্যাপ।এই তিনটি জিনিস থাকলে আমরা মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখতে পারি।

 এখন প্রশ্ন হলো, কোন টিভি অ্যাপ ব্যবহার করবো? বাজারে অনেক ধরণের টিভি অ্যাপ রয়েছে। কিন্তু সব অ্যাপ ভালো নয়। কিছু অ্যাপ ভালো কোয়ালিটির ভিডিও দেয় না, কিছু অ্যাপ বেশি ডেটা খরচ করে, কিছু অ্যাপ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিরক্ত করে। তাই আমরা এমন একটি অ্যাপ বেছে নিতে হবে যেটি আমাদের এই সমস্যাগুলো দূর করে দেবে।আমার মতে, এমন একটি অ্যাপ হলো বাংলা টিভি লাইভ।

 এই অ্যাপটি আমি নিজে ব্যবহার করি এবং আমি এটা খুব ভালো মনে করি। এই অ্যাপের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:এই অ্যাপে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেল রয়েছে। যেমন: এটিএন বাংলা, বাংলা ভিশন, একুশে টিভি, এসএসসি টিভি, জমুনা টিভি, নাগরিক টিভি, বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সময় টিভি, নিউজ টোয়েন্টিফোর, আইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, এবং অন্যান্য।

এই অ্যাপে ভারতের কিছু জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল ও রয়েছে। যেমন: স্টার জলসা, জি বাংলা, কালার্স বাংলা, সনি এটিএন, এবং অন্যান্য। এই অ্যাপে বিশ্বের কিছু বিখ্যাত টিভি চ্যানেল ও রয়েছে। যেমন: বিবিসি ওয়ার্ল্ড, সিএনএন, এলজেজিরা, ডিসকভারি, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, এবং অন্যান্য। এই অ্যাপে বিভিন্ন ধরণের টিভি চ্যানেল রয়েছে। যেমন: সংবাদ, মনোরঞ্জন, খেলা, শিক্ষা, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, এবং অন্যান্য।

বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেল সম্পর্কে জানুন

আর্টিকেলের প্রথমে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে টিভি দেখের উপায়। এখন জানবো বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেল সম্পর্কে। বাংলাদেশে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৫০টির বেশি টিভি চ্যানেল আছে। এই চ্যানেলগুলোর মধ্যে কিছু হলো জাতীয়, কিছু হলো আন্তর্জাতিক এবং কিছু হলো বিশেষ ধরনের।

এই চ্যানেলগুলো বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট প্রচার করে, যেমন সংবাদ, বিনোদন, শিক্ষা, ধর্ম, খেলা, সাংস্কৃতিক, সাহিত্য, সিনেমা, মিউজিক, লাইফস্টাইল ইত্যাদি।বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলো দেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশের প্রথম টিভি চ্যানেল হলো বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), যা ১৯৬৪ সালে চালু হয়।

 এই চ্যানেলটি দেশের জাতীয় চ্যানেল হিসেবে কাজ করে থাকে, এবং বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্প্রচার করে। বিটিভির পাশাপাশি আরও কিছু জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল হলো:এটিএন বাংলা: এটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেল, যা ১৯৯৭ সালে শুরু হয়। এই চ্যানেলটি সংবাদ, বিনোদন, সাহিত্য, সিনেমা, খেলা, লাইফস্টাইল এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর।

 কার্যক্রম সম্প্রচার করে।চ্যানেল আই: এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল, যা ১৯৯৯ সালে শুরু হয়। এই চ্যানেলটি বিশেষভাবে বাংলা সিনেমা, নাটক, টেলিফিল্ম, মিউজিক ভিডিও, রিয়ালিটি শো এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক কার্যক্রমের উপর ফোকাস করে।একুশে টেলিভিশন: এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বেসরকারি টিভি চ্যানেল, যা ২০০০ সালে শুরু হয়। 

এই চ্যানেলটি সংবাদ, বিশ্লেষণ, তথ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতি, ইতিহাস, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর কার্যক্রম সম্প্রচার করে।এনটিভি: এটি বাংলাদেশের চতুর্থ বেসরকারি টিভি চ্যানেল, যা ২০০৩ সালে শুরু হয়। এই চ্যানেলটি সংবাদ, বিনোদন, নাটক, সিনেমা, খেলা, রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর কার্যক্রম সম্প্রচার করে।

এছাড়াও বাংলাদেশের আরও অনেক টিভি চ্যানেল রয়েছে, যেমন বোয়াল টিভি, ডিএসটিভি, আইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি।

স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স সম্পর্কে জানুন

এর আগে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায়। এখন জানবো স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স হলো একটি অনুমতি যা একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চালানোর জন্য প্রয়োজন। এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে প্রাপ্ত হয়।

 এটি একটি বার্ষিক ফি বা রাজস্ব ভাগ হিসেবে পরিশোধ করতে হয়।স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স প্রয়োজন কেন?স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স প্রয়োজন কারণ:এটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চালকদের জন্য একটি আইনি বাধ্যতা। বিনা লাইসেন্সে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চালানো অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চালকদের জন্য একটি মান নির্ধারক।

 লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চ্যানেলগুলি নির্দিষ্ট মান ও নীতি মেনে চলতে হয়। এটি দর্শকদের জন্য গুণগত মানের টিভি প্রোগ্রাম নিশ্চিত করে।এটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চালকদের জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চ্যানেলগুলি নিরাপদ এবং সঠিক উপগ্রহ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে হয়। এটি উপগ্রহ সংযোগের বিঘ্ন এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমায়।

স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স কিভাবে পাওয়া যায়?স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:প্রথমে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ওয়েবসাইট থেকে একটি আবেদন ফরম ডাউনল।

বিটিভি লাইসেন্স লিস্ট এ সম্পর্কে জানুন

এর আগে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায়। এখন জানবো বিটিভি লাইসেন্স লিস্ট।বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) হলো বাংলাদেশের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে ১৯৬৪ সালে চালু হয়। বিটিভি এর কার্যক্রম সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলমান হয়। বিটিভি এর প্রধান কার্যালয় রামপুরা, ঢাকায় অবস্থিত।

বিটিভি এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট এ আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। বিটিভি এর অনুষ্ঠান সমূহ বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সম্প্রচারিত হয়।বিটিভি এর অনুষ্ঠান দেখার জন্য দর্শকদের টেলিভিশন সেটের জন্য লাইসেন্স নিতে হয়। লাইসেন্স না নেওয়া পর্যন্ত কোন টেলিভিশন সেট ব্যবহার করা যাবে না।

 লাইসেন্স নেওয়ার জন্য দর্শকদের নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হয়। লাইসেন্স এর ফি টেলিভিশন সেটের ধরন, আকার ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। লাইসেন্স এর ফি জনতা ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দেওয়া যায়।বিটিভি লাইসেন্স এর বিভিন্ন ধরন হলোঃ আবাসিক টেলিভিশন লাইসেন্সঃ এই লাইসেন্স হলো আবাসিক ভিত্তিতে ব্যবহৃত টেলিভিশন সেটের জন্য।

 এই লাইসেন্স এর জন্য এককালীন ফি প্রদান করতে হয়। এই লাইসেন্স এর ফি টেলিভিশন সেটের ধরন ও আকার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সাদা-কালো, রঙিন, LCD বা LED টেলিভিশন এর জন্য আলাদা আলাদা ফি প্রযোজ্য। এছাড়া টেলিভিশন সেটের আকার যথা ২১ ইঞ্চি, ২২ ইঞ্চি বা তদূর্ধ্ব অনুযায়ীও ফি ভিন্ন হয়। 

আবাসিক টেলিভিশন লাইসেন্স এর জন্য আবেদন ফরম পেতে হলে বিটিভি এর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। বাণিজ্যিক টেলিভিশন লাইসেন্সঃ এই লাইসেন্স হলো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত টেলিভিশন সেটের জন্য।

বিটিআরসি আইএসপি লাইসেন্স তালিকা এ সম্পর্কে জানুন

শুরুতে আমরা আলোচনা করেছি ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায়। এখন আমরা আলোচনা করবো বিটিআরসি আইএসপি লাইসেন্স তালিকা। বিটিআরসি আইএসপি লাইসেন্স তালিকা নিয়ে একটা বাংলা আর্টিকেল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হলো বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেক্টরের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ। 

এটি টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স প্রদান করে এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। বিটিআরসি এর অধীনে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স প্রদান করা হয় যেমন- সেলুলার মোবাইল, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি), ভিওআইপি, আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, আইআইজি, পিএসটিএন, এনটিটিএন, ভিহিকল ট্র্যাকিং সার্ভিস, আইপি টেলিফোনি ইত্যাদি।

বিটিআরসি এর ওয়েবসাইটে বিভিন্ন লাইসেন্সের জন্য রেগুলেটরি এবং লাইসেন্সিং গাইডলাইন পাওয়া যায়। এখানে লাইসেন্স প্রদানের শর্তাবলী, লাইসেন্স ফি, লাইসেন্স প্রকার, লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া, লাইসেন্স প্রদানের তালিকা ইত্যাদি তথ্য রয়েছে। লাইসেন্স প্রার্থীরা এই গাইডলাইন অনুযায়ী আবেদন করতে পারে।

বিটিআরসি এর আইএসপি লাইসেন্স এর জন্য রেগুলেটরি এবং লাইসেন্সিং গাইডলাইন অনুযায়ী আইএসপি লাইসেন্স দুই ধরনের হতে পারে- জাতীয় এবং আঞ্চলিক। জাতীয় আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারে। আঞ্চলিক আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট একটি বা একাধিক জেলায় ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারে।

জাতীয় আইএসপি লাইসেন্স এর জন্য এককালীন ফি হলো ১০ লাখ টাকা এবং আঞ্চলিক আইএসপি লাইসেন্স এর জন্য এককালীন ফি হলো ২ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতি বছর রিভিউ।

শেষকথা: প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ল্যাপটপে টিভি দেখার উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেও শিখতে পেরেছেন আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনাদের আত্মীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url