ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
আপনি কি জানেন, ল্যাপটপে স্কিনসট নেওয়ার জন্য কিছু সহজ ও দ্রুত উপায় আছে?
আমাদের এই আর্টিকেলে আপনি শিখতে পারবেন, কীভাবে ল্যাপটপে স্কিনসট নিবেন কীবোর্ড
শর্টকাট, স্নিপ এবং স্কেচ টুল, ওয়িন্ডোজ কী ও জি বাটন ব্যবহার করে।
মোবাইলে স্কিনসট কিভাবে নেয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
ভূমিকা:
ল্যাপটপ হল আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। আমরা ল্যাপটপ ব্যবহার
করি শিক্ষা, কাজ, বিনোদন, যোগাযোগ এবং আরো অনেক কাজে। ল্যাপটপ আমাদের কাছে একটি
মূল্যবান সম্পদ। তাই আমরা ল্যাপটপকে সুরক্ষিত এবং সুন্দর রাখতে চাই। একটি উপায়
হল ল্যাপটপের জন্য একটি স্কিনসেট নেওয়া। স্কিনসেট হল একটি থিন ফিল্ম যা
ল্যাপটপের।
বাহিরের অংশগুলিতে আটকানো হয়। স্কিনসেট ল্যাপটপকে ক্রেত্রিম ক্ষতি থেকে রক্ষা
করে এবং একটি নিজস্ব স্টাইল যুক্ত করে। কিন্তু ল্যাপটপের জন্য একটি স্কিনসেট
নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।
এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে ল্যাপটপের জন্য একটি স্কিনসেট নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
বলব। এই আর্টিকেলটি পড়ে আরো জানতে পারবেন মোবাইলে স্ক্রিনশট কিভাবে
করে।কম্পিউটারে স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয়।স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম।স্ক্রীনশট
সেটিং।স্ক্রিনশট সফটওয়্যার।ফেসবুকে স্ক্রিনশট বন্ধ করার নিয়ম।
ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক। ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়া হলো কম্পিউটারের
মনিটরের কোন একটি অংশ বা সম্পূর্ণ পর্দা ছবি হিসেবে ধরে রাখার প্রক্রিয়া। এটি
অনেক কাজে লাগে, যেমন কোন সমস্যা বা ত্রুটি দেখানো, কোন নির্দেশিকা বা
টিউটোরিয়াল তৈরি করা, কোন।
আরোপরুন:মোবাইলে ফ্রি টিভি দেখার উপায়
তথ্য বা ডেটা সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম বিভিন্ন
অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করে। এই আর্টিকেলে আমরা উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স
এবং ক্রোমবুকের জন্য স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম জানবো।উইন্ডোজে স্ক্রিনশট নেওয়ার
নিয়ম উইন্ডোজে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
একটি সাধারণ উপায় হলো কীবোর্ডের Print Screen বা PrtScn বাটনটি চাপা। এটি
সম্পূর্ণ পর্দার ছবি ক্লিপবোর্ডে কপি করে রাখে। এরপর আপনি কোন ইমেজ এডিটিং
সফটওয়্যার, যেমন পেইন্ট, ফটোশপ বা স্নিপিং টুলে এটি পেস্ট করে সেভ করতে পারেন।
আপনি যদি কীবোর্ডের Windows বাটন এবং PrtScn বাটনকে একসাথে চাপেন, তবে
স্ক্রিনশট সরাসরি আপনার।
পিকচার ফোল্ডারের স্ক্রিনশট সাবফোল্ডারে সেভ হয়ে যাবে। আপনি যদি কীবোর্ডের Alt
বাটন এবং PrtScn বাটনকে একসাথে চাপেন, তবে শুধুমাত্র চলমান উইন্ডোর ছবি
ক্লিপবোর্ডে কপি হবে। আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন, তবে আপনি কীবোর্ডের
Windows বাটন, Shift বাটন এবং S বাটনকে একসাথে চাপেন, তবে আপনি স্ক্রিনের যে
কোন।
অংশকে স্ক্রিনশট হিসেবে ক্রপ করতে পারেন।ম্যাকে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম
ম্যাকে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আপনাকে কীবোর্ডের Command বাটন, Shift বাটন এবং
নাম্বার বাটনগুলি ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি Command + Shift + 3 চাপেন, তবে
সম্পূর্ণ পর্দার ছবি আপনার ডেস্কটপে সেভ হয়।
মোবাইলে স্ক্রিনশট কিভাবে করে এ সম্পর্কে জানুন
এ আগে আর্টিকেলে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম। মোবাইল ফোন
আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। মোবাইলে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করি, যেমন
ফোন করা, মেসেজ করা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, গেম খেলা, ভিডিও দেখা, ছবি তুলা
ইত্যাদি। কিন্তু কখনো কখনো আমাদের মোবাইলের কোনো স্ক্রিনশট নিতে হয়।
যেমন কোনো ইমেল, মেসেজ, ওয়েবসাইট, ডকুমেন্ট, এরর মেসেজ, কোড ইত্যাদি।
স্ক্রিনশট হলো মোবাইলের স্ক্রিনের একটি ছবি, যা আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি বা
অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারি। স্ক্রিনশট নেওয়া খুবই সহজ, কিন্তু বিভিন্ন
মোবাইলে এর পদ্ধতি আলাদা আলাদা। এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কিভাবে আমরা আমাদের
মোবাইলে।
স্ক্রিনশট নিতে পারি।আন্ড্রয়েড মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়ার পদ্ধতি
আন্ড্রয়েড মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হলো পাওয়ার
বাটন এবং ভলিউম ডাউন বাটন একসাথে চেপে রাখা। এই পদ্ধতিটি অনেক আন্ড্রয়েড
মোবাইলে কাজ করে, যেমন স্যামসাং, মোটোরোলা, নেক্সাস, লেনোভো, এলজি, হুয়াওয়ে,
ওপ্পো, ভিভো, রেডমি, রিয়েলমি, ইত্যাদি।
এই পদ্ধতিতে আপনাকে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম ডাউন বাটন একই সময়ে চেপে রাখতে হবে
কয়েক সেকেন্ড, তারপর আপনি একটি ক্লিক শব্দ শুনতে পারেন এবং আপনার মোবাইলের
স্ক্রিনের একটি ছবি তৈরি হয়ে যাবে। এই ছবিটি আপনি আপনার মোবাইলের গ্যালারি
থেকে দেখতে পারেন বা অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
কিছু আন্ড্রয়েড মোবাইলে এই পদ্ধতি কাজ করবে না, যেমন স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট,
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস, ওয়ানপ্লাস, সোনি, এইচটিসি, ইত্যাদি। এই মোবাইলগুলোতে
আপনাকে পাওয়ার বাটন এবং হোম বাটন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বাটন একসাথে চেপে
রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতেও আপনি একই রকম ক্লিক শব্দ শুনতে পারেন এবং আপনার
মোবাইলের স্ক্রিনের একটি ছবি তৈরি হয়ে যাবে।
কম্পিউটারে স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয় এ সম্পর্কে জানুন।
আর্টিকেলের শুরুতে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম।এখন জানবো
কম্পিউটারে স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয়। কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়া মানে হলো
কম্পিউটারের মনিটরের যে কোন একটি অংশ বা পুরো স্ক্রিনকে ছবির আকারে ধরে রাখা।
এটি করার জন্য আপনাকে কোন বিশেষ সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না, আপনি কেবল আপনার
কীবোর্ডের।
কিছু বাটন ব্যবহার করেই এটি করতে পারেন। এখানে আমি আপনাকে উইন্ডোজ ও
ম্যাক দুইটি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য স্ক্রিনশট নেওয়ার পদ্ধতি বলব উইন্ডোজে
স্ক্রিনশট নেওয়ার পদ্ধতি উইন্ডোজে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য আপনার কীবোর্ডে একটি
বাটন আছে যেটি প্রিন্ট স্ক্রিন বা PrtScn নামে পরিচিত।
এই বাটনটি আপনি কীবোর্ডের উপরের দিকে ফাংশন কীগুলোর মধ্যে খুঁজে পাবেন। এই
বাটনটি চাপলে আপনার মনিটরের পুরো স্ক্রিনটি ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে যাবে।
ক্লিপবোর্ড হলো একটি ভার্চুয়াল জায়গা যেখানে আপনি কোন কিছু কপি করলে সেটি
সংরক্ষণ হয়। এখন আপনি যে কোন একটি ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার যেমন পেইন্ট, ফটোশপ।
বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওপেন করে ক্লিপবোর্ডের কন্টেন্টটি পেস্ট করতে
পারেন। এভাবে আপনি আপনার স্ক্রিনশটটি সেভ করতে পারেন বা এটি এডিট করতে
পারেন।যদি আপনি মনিটরের পুরো স্ক্রিন না নিতে চান বরং এর কোন একটি অংশ নিতে চান
তাহলে আপনার কীবোর্ডের উইন্ডোজ কী এবং PrtScn কী একসাথে চাপতে হবে।
এটি করলে আপনার স্ক্রিনে একটি ক্রসহেয়ার আইকন দেখাবে এবং আপনি মাউস
দিয়ে যে অংশটি স্ক্রিনশট হিসেবে নিতে চান সেটি সিলেক্ট করতে পারবেন। এভাবে
আপনি স্ক্রিনের যে কোন অংশের স্ক্রিনশট নিতে পারবেন।
স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম এ সম্পর্কে জানুন
আর্টিকেলের প্রথমে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম।এখন জানবো
স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম।স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন ক্যাপচার হলো কম্পিউটার, মোবাইল,
ট্যাবলেট বা অন্য কোন ডিভাইসের স্ক্রিনের একটি ছবি যা স্ক্রিনে যা দেখা যায় তা
ধরে রাখে। স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে যা ডিভাইস থেকে ডিভাইস
ভিন্ন হতে পারে।
এই আর্টিকেলে আমরা কিছু সাধারণ স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম জানবো।কম্পিউটারে
স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম:কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায়
হলো কীবোর্ডের PrtScn বা Print Screen বাটনটি চাপা। এটি স্ক্রিনের সম্পূর্ণ ছবি
ক্লিপবোর্ডে কপি করে রাখে। এরপর আপনি কোন ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার যেমন পেইন্ট,
ফটোশপ।
বা অন্য কোন সফটওয়্যার খুলে ক্লিপবোর্ড থেকে পেস্ট করে স্ক্রিনশটটি সেভ করতে
পারেন।আপনি যদি স্ক্রিনের একটি নির্দিষ্ট অংশের স্ক্রিনশট নিতে চান তবে আপনি
উইন্ডোজের Snipping Tool বা ম্যাকের Grab বা Screenshot সফটওয়্যার ব্যবহার
করতে পারেন। এই সফটওয়্যারগুলি আপনাকে স্ক্রিনের যে কোন অংশকে সিলেক্ট করে
স্ক্রিনশট নেওয়ার সুবিধা দেয়।
আপনি এই সফটওয়্যারগুলি থেকে সরাসরি স্ক্রিনশটটি সেভ, কপি বা শেয়ার করতে
পারেন।মোবাইল বা ট্যাবলেটে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম:মোবাইল বা ট্যাবলেটে
স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য সাধারণত দুটি বাটনকে একসাথে চাপা লাগে। এই দুটি বাটন
হতে পারে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম ডাউন বাটন বা হোম বাটন এবং পাওয়ার বাটন।
ডিভাইস থেকে ডিভাইস এই বাটনগুলি পরিবর্তন হতে পারে। আপনি আপনার ডিভাইসের
ম্যানুয়াল দেখে নিতে পারেন যে আপনার ডিভাইসে কোন বাটনগুলি স্ক্রিনশট নেওয়ার
জন্য ব্যবহার করা হয়। বাটনগুলি চাপার পর আপনি একটি ক্লিক শব্দ শুনতে পারেন এবং
স্ক্রিনের একটি ফ্ল্যাশ দেখতে পারেন।
স্ক্রীনশট সেটিং এ সম্পর্কে জানুন
আর্টিকেলটি পরে আপনারা জানতে পেরেছেন ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম।এখন জানবো
স্ক্রীনশট সেটিং।স্ক্রিনশট হলো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিনের একটি
ছবি যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্ক্রিনে যা দেখা যায় তা ধরে রাখে। স্ক্রিনশট
নিতে পারেন যদি আপনি কোন কিছু দেখাতে চান, কোন কিছু সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে
চান, কোন কিছু সংরক্ষণ করতে চান।
বা কোন কিছু শেয়ার করতে চান। স্ক্রিনশট নিতে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল
ডিভাইসের নির্দিষ্ট কী বা বাটন চাপতে হয়। কিন্তু স্ক্রিনশট নিয়ে আপনি কিছু
সেটিং করতে পারেন যা আপনার স্ক্রিনশটকে আরও ভালো করতে পারে। এই আর্টিকেলে আমি
আপনাকে বলবো যে স্ক্রিনশট সেটিং কিভাবে করবেন এবং কেন এটা করা উচিত।
স্ক্রিনশট সেটিং করার উপকারিতা: স্ক্রিনশট সেটিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার
স্ক্রিনশটের কোয়ালিটি, ফরম্যাট, সাইজ, লোকেশন, ফাইলনেম, শর্টকাট কী ইত্যাদি
নির্ধারণ করতে পারেন। এই সেটিং গুলো আপনার স্ক্রিনশটকে আরও পেশাদার, সুন্দর এবং
কার্যকর করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আপনার স্ক্রিনশটের কোয়ালিটি
বাড়াতে চান, তাহলে।
আপনি স্ক্রিনশটের রেজোলিউশন বা ডিপিআই (dots per inch) বাড়াতে পারেন।
আপনি যদি আপনার স্ক্রিনশটের ফরম্যাট পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনি স্ক্রিনশটকে
জেপিজি, পিএনজি, বিএমপি ইত্যাদি ফরম্যাটে সেভ করতে পারেন। আপনি যদি আপনার
স্ক্রিনশটের সাইজ কমাতে চান, তাহলে আপনি স্ক্রিনশটের ডাইমেনশন বা ক্রপ করতে
পারেন।
আপনি যদি আপনার স্ক্রিনশটের লোকেশন বা ফাইলনেম পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনি
স্ক্রিনশটকে যেকোনো ফোল্ডারে সেভ করতে পারেন এবং যেকোনো নাম দিতে পারেন। আপনি
যদি আপনার স্ক্রিনশট নেওয়ার শর্টকাট কী পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনি আপনার
কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের সেটিং থেকে এটা করতে পারেন।
স্ক্রিনশট সফটওয়্যার সম্পর্কে জানুন
আর্টিকেলের আগে আমরা জেনে নিয়েছি ল্যাপটপের স্ক্রিনসট নেওয়ার নিয়ম। এখন আমরা
আলোচনা করবো স্ক্রিনশট সফটওয়্যার সম্পর্কে। কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের
পর্দায় যা দেখাচ্ছে তার একটি ছবি নেওয়াকে স্ক্রিনশট বলে। স্ক্রিনশট নেওয়ার
জন্য আমাদের স্ক্রিনশট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। স্ক্রিনশট সফটওয়্যার হলো
এমন একটি প্রোগ্রাম যা আমাদের।
স্ক্রিনের বিষয়বস্তু ধরে রাখে এবং আমাদের কাছে সেইভ করে দেয়।স্ক্রিনশট
সফটওয়্যার ব্যবহার করার কারণ স্ক্রিনশট সফটওয়্যার ব্যবহার করার অনেক কারণ
আছে। কিছু কারণ হলো:স্ক্রিনশট দিয়ে আমরা কোনো তথ্য বা নির্দেশনা সহজে শেয়ার
করতে পারি। যেমন, আমরা কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের স্ক্রিনের যা
দেখাচ্ছে তা স্ক্রিনশট করে বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাতে পারি।
স্ক্রিনশট দিয়ে আমরা কোনো কাজ বা প্রক্রিয়ার ধাপগুলি দেখাতে পারি। যেমন, আমরা
কোনো সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করার উপায় বা টিপস স্ক্রিনশট দিয়ে ব্যাখ্যা
করতে পারি।স্ক্রিনশট দিয়ে আমরা কোনো মুহূর্ত বা ঘটনা সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন,
আমরা কোনো ভিডিও বা গেমের একটি দৃশ্য বা স্কোর স্ক্রিনশট করে রাখতে
পারি।স্ক্রিনশট সফটওয়্যার ব্যবহার।
করার পদ্ধতিস্ক্রিনশট সফটওয়্যার ব্যবহার করার পদ্ধতি আমাদের ডিভাইসের
উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ পদ্ধতি হলো কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য,
আমরা কীবোর্ডের প্রিন্ট স্ক্রিন বা PrtSc বাটন ব্যবহার করতে পারি। এটি আমাদের
স্ক্রিনের ছবি ক্লিপবোর্ডে রাখে। তারপর আমরা কোনো ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার যেমন
পেইন্ট বা ফটোশপ খুলে ক্লিপবোর্ডের ছবিটি পেস্ট করে সেভ করতে পারি।
ফেসবুকে স্ক্রিনশট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
এর আগে আমরা জেনেছি ল্যাপটপে স্ক্রিনসট নেওয়ার নিয়ম। এখন জানবো ফেসবুকে
স্ক্রিনশট বন্ধ করার নিয়ম। ফেইসবুক একটি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম যেখানে
ব্যবহারকারীরা তাদের মন্তব্য, ছবি, ভিডিও, লাইভ সম্প্রচার এবং অন্যান্য
কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন। কিন্তু কখনো কখনো আপনি হয়তো চাইবেন যে আপনার
ফেইসবুক একাউন্টের।
কোন কিছু অন্যদের দেখা যায় না বা স্ক্রিনশট নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আপনি
কিছু সেটিং পরিবর্তন করে আপনার ফেইসবুক একাউন্টকে আরও নিরাপদ করতে পারেন। এই
আর্টিকেলে আমরা আপনাকে বলব কিভাবে আপনি ফেইসবুকে স্ক্রিনশট বন্ধ করতে
পারেন।ফেইসবুকে স্ক্রিনশট বন্ধ করার জন্য আপনার করণীয় হলো
প্রথমে আপনার ফেইসবুক একাউন্টে লগইন করুন।তারপর আপনার প্রোফাইল আইকনে ক্লিক
করুন এবং সেটিংস এবং গোপনীয়তা অপশনটি নির্বা।চন করুন।এরপর আপনি একটি নতুন পেজে
চলে যাবেন যেখানে আপনি আপনার ফেইসবুক একাউন্টের বিভিন্ন সেটিং দেখতে পারবেন।
এখানে আপনার প্রাইভেসি সেটিংস অপশনটি ক্লিক করুন।
এবং আপনার প্রোফাইল, পোস্ট, স্টোরি, ট্যাগ এবং অন্যান্য কন্টেন্টের জন্য
আপনার প্রাইভেসি লেভেল সেট করুন।আপনি যদি চান যে আপনার কোন কন্টেন্ট শুধুমাত্র
আপনি দেখতে পারেন বা আপনার নির্বাচিত বন্ধুরা দেখতে পারেন, তবে আপনি পাবলিক
অপশনটি থেকে শুধু আমি বা বন্ধুরা অপশনটি নির্বাচন করতে পারেন।
এভাবে আপনি আপনার ফেইসবুক একাউন্টের প্রাইভেসি বাড়াতে পারেন এবং অন্যদের আপনার
কন্টেন্ট স্ক্রিনশট নেওয়া থেকে বিরত করতে পারেন।তবে, আপনি মনে রাখবেন যে এই
পদ্ধতিটি আপনার ফেইসবুক একাউন্টকে সম্পূর্ণ রক্ষা করবে না। কারণ, অন্যরা আপনার
কন্টেন্ট দেখতে পারলে তারা আপনার স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য অন্যান্য উপায়
ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ক্যামেরা, স্ক্রিন রেকর্ডার বা অন্যান্য।
শেষকথা:প্রিয় পাঠক আজকে
আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি ল্যাপটপে স্ক্রিনসট নেওয়ার নিয়ম।আরো আলোচনা করছি
বা আপনারা জানতে পেরেছেন মোবাইলে স্ক্রিনশট কিভাবে করে।কম্পিউটারে স্ক্রিনশট
কিভাবে নিতে হয়।স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম।স্ক্রীনশট সেটিং।স্ক্রিনশট
সফটওয়্যার।ফেসবুকে স্ক্রিনশট বন্ধ করার নিয়ম।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনার অনেক ভালো লেগেছে অনেক কিছু জানতে
পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার আত্মীয়
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url