সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত এ সম্পর্কে জেনে নিন
সিঙ্গাপুরের বৈচিত্র্যময় সমাজে মুসলিম জনসংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের নিবন্ধে আপনি জানতে পারবেন সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যার পরিসংখ্যান, তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবদান এবং সিঙ্গাপুরের মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক বিকাশ। বিস্তারিত জানতে সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
এ আর্টিকেলে আরো থাকছে সিঙ্গাপুর কিসের জন্য বিখ্যাত। সিঙ্গাপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এটি জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন কোনো অংশ বাদ দিবেন না।
ভূমিকা:
সিঙ্গাপুরের বৈচিত্র্যময় সমাজে মুসলিম জনগোষ্ঠী একটি অপরিহার্য অংশ।, মালয় এবং সুন্নি মুসলিমরা এই জনগোষ্ঠীর প্রধান অংশ গঠন করে, যারা শাফি এবং হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ বছর এবং তার অধিক বয়সী সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের প্রায় ১৫% মুসলমান।
এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিমদের প্রায় ১৭ শতাংশ। সিঙ্গাপুরের মুসলিম জনসংখ্যা একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি, যা দেশটির বহুমুখী সামাজিক কাঠামোকে আরও সমৃদ্ধ করে।এ আর্টিকেলে আরো থাকছে সিঙ্গাপুর কিসের জন্য বিখ্যাত।
সিঙ্গাপুরে জনসংখ্যা কত। সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত। সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি। সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩। সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা।
সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত এ সম্পর্কে জেনে নিন
সিঙ্গাপুর, একটি বহুজাতিক এবং বহুসাংস্কৃতিক দেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে বিভিন্ন ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। এই দেশটির জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের ১৫ বছর এবং তার অধিক বয়সী নাগরিকদের প্রায় ১৫% মুসলমান।
এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মালয় এবং সুন্নি মুসলমান, যারা শাফি বা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে। এছাড়াও, সিঙ্গাপুরের মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ১৭% দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত। সিঙ্গাপুরের মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং প্রসারিত করতে নানান উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
দেশটিতে প্রায় ৭৫টি মসজিদ রয়েছে, যা মুইস (Majlis Ugama Islam Singapura) কর্তৃক পরিচালিত হয়¹। এই মসজিদগুলি না শুধু প্রার্থনার স্থান হিসেবে কাজ করে, বরং সামাজিক এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। সিঙ্গাপুরের মুসলিম সম্প্রদায় তাদের।
বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশটির বহুজাতিক পরিচিতির একটি অংশ হিসেবে অবদান রাখছে। তারা সিঙ্গাপুরের সমৃদ্ধ সামাজিক কাঠামোর একটি অপরিহার্য অংশ এবং এই দেশের বৈচিত্র্যময় সমাজের সমৃদ্ধির প্রতীক।
সিঙ্গাপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্পর্কে জেনে নিন
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত। এখন জানবো সিঙ্গাপুর কিসের জন্য বিখ্যাত। সিঙ্গাপুর একটি বিশ্বব্যাপী আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যা তার উন্নত অবকাঠামো, উচ্চ জীবনমান, এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি তার প্রাণবন্ত শহর জীবন, আধুনিক স্থাপত্য, এবং বিশ্বমানের পর্যটন আকর্ষণের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত, যেমন উৎপাদন, আর্থিক সেবা, এবং পর্যটন, এবং এটি একটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের হাব হিসেবে কাজ করে। সিঙ্গাপুরের বন্দর একটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বন্দরগুলির মধ্যে অন্যতম। সিঙ্গাপুরের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এর আকর্ষণের অন্যতম কারণ।
এটি বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মিশ্রণে গঠিত, যেমন চীনা, মালয়, ভারতীয়, এবং অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠী, যারা একসাথে একটি বহুসাংস্কৃতিক সমাজ গঠন করেছে। এই বৈচিত্র্য সিঙ্গাপুরের খাবার, উৎসব, এবং শিল্পে প্রতিফলিত হয়। সিঙ্গাপুরের খাবারের দৃশ্য বিশেষত বিখ্যাত, যেখানে রাস্তার খাবার থেকে শুরু করে মিশেলিন তারকা প্রাপ্ত রেস্তোরাঁ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
পর্যটনের দিক থেকে, সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে স্যান্ডস, সিঙ্গাপুর ফ্লায়ার, সেন্টোসা দ্বীপ, এবং বোটানিক গার্ডেনস এর মতো আকর্ষণগুলি বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এছাড়াও, সিঙ্গাপুরের জীবন্ত নাইটলাইফ এবং বিশ্বমানের শপিং মলগুলি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। সিঙ্গাপুরের উন্নতি এবং সাফল্যের পেছনে এর শিক্ষা ব্যবস্থা, কঠোর আইন এবং শৃঙ্খলা, এবং সরকারের দূরদর্শিতা অন্যতম কারণ।
এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি তার সীমিত সম্পদ এবং ছোট আকারের সত্ত্বেও বিশ্ব মঞ্চে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। সিঙ্গাপুরের এই অসাধারণ উন্নতি এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এটিকে একটি অনন্য এবং বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত গন্তব্য করে তুলেছে।
সিঙ্গাপুরে জনসংখ্যা কত এ সম্পর্কে জেনে নিন
এর আগে আমরা জেনেছি সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত। এখন জানবো সিঙ্গাপুরে জনসংখ্যা কত। সিঙ্গাপুর, একটি ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র, যা তার অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নতি ও বহুজাতিক সমাজের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই শহর-রাষ্ট্রটির জনসংখ্যা একটি বিস্ময়কর বিষয়, যা তার ভৌগোলিক আয়তনের সাথে তুলনা করলে আরও বেশি অবাক করা।
২০২২ সালের হিসেবে, সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা প্রায় ৫.৬৪ মিলিয়ন ছিল। এই সংখ্যাটি বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের তুলনায় কম হলেও, সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ঘনত্ব অত্যন্ত উচ্চ।সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিগত কয়েক দশকে অনেক বেশি ছিল, যা বিশ্বের অন্যান্য অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বেশি।
এই বৃদ্ধির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, যেমন উচ্চ অভিবাসন হার, উচ্চ জন্মহার, এবং উন্নত স্বাস্থ্য সেবা। এই বৃদ্ধির ফলে সিঙ্গাপুরের শহরায়ন ও অর্থনীতির উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু একই সাথে অনেক চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার ভবিষ্যতে কীভাবে পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে অনেক আলোচনা ও গবেষণা চলছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সিঙ্গাপুরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে সরকার ও নীতি নির্ধারকরা কাজ করছেন। সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব শুধু তার নিজস্ব সীমানার মধ্যে নয়, বিশ্বের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলছে।
সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই চিত্র আমাদের জানায় যে, একটি ছোট্ট দেশ কীভাবে তার সীমিত সম্পদ ও সুযোগ নিয়েও বিশ্বের মানচিত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই গল্প আমাদের শেখায় যে, উন্নতির পথে অগ্রসর হতে গেলে সঠিক পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ অপরিহার্য।
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত এ সম্পর্কে জেনে নিন
আর্টিকেলের প্রথমে আমরা জেনেছি সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত। এখন জানবো সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত। সিঙ্গাপুর, একটি উন্নত দ্বীপ রাষ্ট্র, যা তার উচ্চ জীবনমান এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি কর্মসংস্থানের আশায় সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। এই প্রবাসীদের মনে প্রশ্ন থাকে, "সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত?
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন কাজের ধরণ, দক্ষতা, এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। সাধারণত, অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য বেতন শুরু হয় প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি টাকা থেকে। তবে, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতনের পরিমাণও বাড়তে থাকে।সম্প্রতি, সিঙ্গাপুর দূতাবাস প্রবাসীদের জন্য বেতন ভাতা বাড়িয়েছে।
আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে, বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন হবে সাড়ে চার হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার¹। বাংলাদেশি মুদ্রায়, এই পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। আর্থিক খাতের কর্মীদের বেতন আরও ১০ শতাংশ বেড়ে হবে সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার, যা প্রায় ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এই পরিবর্তন সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থানের চিত্রকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তবে, সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য যাওয়ার আগে সঠিক তথ্য এবং নিয়মাবলী জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সিঙ্গাপুরের কাজের বাজার, বেতনের কাঠামো, এবং বিভিন্ন কাজের চাহিদা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রবাসীদের জন্য উপকারী হবে। সিঙ্গাপুরে কাজের সন্ধানে যাওয়ার আগে, নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতা বাড়ানো, সেখানকার ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
এবং সঠিক ভিসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রস্তুতি সিঙ্গাপুরে সফল কর্মজীবন গড়ে তোলার পথে প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করবে। সিঙ্গাপুরের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, সঠিক সূত্র থেকে তথ্য নিশ্চিত করুন এবং সর্বদা আপডেট থাকুন। সিঙ্গাপুরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বিস্তৃত এবং বিভিন্ন কাজের জন্য বেতনের ভিন্ন হতে পারে।
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জেনে নিন
এর আগে আমরা জেনেছি সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত। এখন জানবো সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি। সিঙ্গাপুর, একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিচিত, বিশ্বের অন্যতম সেরা কর্মসংস্থানের গন্তব্য। এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিখ্যাত, যেখানে দক্ষ ও অদক্ষ, উভয় ধরনের কর্মীদের জন্যই চাহিদা রয়েছে।
বিশেষ করে, নির্মাণ, মেরামত, ওয়েল্ডিং, ড্রাইভিং, হোটেল বয় এবং গার্ডেনিং এর মতো কাজগুলোর চাহিদা অত্যন্ত বেশি। সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত হওয়ায়, এখানে কাজের সুযোগ বিপুল। বিশেষত, করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে দেশটিতে বিদেশি কর্মীর চাহিদা আরও বেড়েছে। সিঙ্গাপুরের বেতন কাঠামো অনুযায়ী, দক্ষ কর্মীরা প্রায় ৩০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা।
পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। অদক্ষ কর্মীদের জন্য বেতন কম হলেও, দক্ষতা অর্জনের সাথে সাথে তাদের বেতনও বাড়তে থাকে।সিঙ্গাপুরে কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ওয়েল্ডিং এর কাজের জন্য। এই কাজের জন্য বেতনও ভালো, প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সিঙ্গাপুরে ড্রাইভিং এবং হোটেল বয় এর কাজেরও চাহিদা রয়েছে, যেহেতু এটি একটি পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ।
নির্মাণ শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান হিসেবে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা পেয়ে থাকেন। সিঙ্গাপুরে কাজের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে, এখানে কাজের বাজার অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তাই, কাজের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে নিজের দক্ষতা বাড়ানো এবং সঠিক কাজের খোঁজ রাখা জরুরি।
সিঙ্গাপুরে সফল হতে হলে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দুটোই প্রয়োজন। সিঙ্গাপুরে কাজের চাহিদা এবং বেতন সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে, সঠিক তথ্যের জন্য সরকারি দূতাবাস বা বিশ্বস্ত কর্মসংস্থান এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন। এই আর্টিকেলটি সিঙ্গাপুরে কাজের চাহিদা সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দেয়, তবে বিস্তারিত তথ্যের জন্য সরাসরি সূত্র থেকে তথ্য নেওয়া উত্তম।
সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩ এ সম্পর্কে জেনে নিন
আর্টিকেলের শুরুতে আমরা জেনেছি সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত। এখন জানবো সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩। সিঙ্গাপুর একটি উন্নত এবং বিশ্বমানের শহর-রাষ্ট্র যা অনেক বাংলাদেশির কাজের সন্ধানে এবং ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে, সিঙ্গাপুর যাত্রার পরিকল্পনা করার আগে, খরচের একটি সঠিক ধারণা পাওয়া জরুরি।
ভিসা এবং ভ্রমণ খরচ: সিঙ্গাপুর যাত্রার জন্য প্রথমে ভিসা প্রয়োজন। ভিসার ধরন এবং উদ্দেশ্য অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট, বা বিজনেস ভিসা এর জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, বিমান ভাড়া, হোটেল বুকিং, এবং দৈনন্দিন খরচ অন্তর্ভুক্ত করে মোট খরচ প্রায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হতে পারে।
বাজেট প্ল্যানিং: সিঙ্গাপুর যাত্রার খরচ নির্ধারণের জন্য বাজেট প্ল্যানিং খুব জরুরি। আপনি যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে যাত্রা করেন, তাহলে খরচ বেশি হতে পারে। তাই, সরাসরি ভিসা আবেদন এবং টিকেট বুকিং করা অধিক সাশ্রয়ী হতে পারে। সিঙ্গাপুরে কাজের সুযোগ: সিঙ্গাপুরে কাজের সুযোগ বিস্তৃত। দক্ষ কর্মী থেকে পেশাদার পর্যন্ত, বিভিন্ন সেক্টরে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
তবে, কাজের জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে ভিসা এবং কাজের শর্তাবলী সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা উচিত। সিঙ্গাপুরের জীবনযাত্রা: সিঙ্গাপুরের জীবনযাত্রা মান উচ্চ। তাই, দৈনন্দিন খরচ এবং আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট প্রস্তুত রাখা জরুরি।
সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে জেনে নিন
এর আগে আমরা জেনেছি সিঙ্গাপুরে মুসলিম জনসংখ্যা কত। এখন জানবো সিঙ্গাপুর ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা।বর্তমান বিনিময় হার অনুসারে, ১ সিঙ্গাপুর ডলার সমান ৮২.১৮ বাংলাদেশি টাকা। বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে মুদ্রার বিনিময় হার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা বহন করে। সিঙ্গাপুর ডলার (SGD) ও বাংলাদেশি টাকা (BDT) এর মধ্যে বিনিময় হার বিভিন্ন কারণে পরিবর্তনশীল হয়।
এই পরিবর্তনশীলতা দুই দেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং বিশ্ব বাজারের চাহিদা-সরবরাহের উপর নির্ভর করে। বর্তমানে, ১ সিঙ্গাপুর ডলারের মূল্য প্রায় ৮২.১৮ বাংলাদেশি টাকা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। এই হার বিভিন্ন কারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম এবং ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিদিন আপডেট হয়।
বিনিময় হারের এই পরিবর্তন ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক বা ক্ষতিকর হতে পারে, তাই বিনিময় হারের উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি। সিঙ্গাপুর ডলারের মান বাংলাদেশি টাকার তুলনায় উচ্চ হওয়ার কারণে, বাংলাদেশের বাজারে সিঙ্গাপুরের পণ্য ও সেবাগুলি অধিক মূল্যবান হয়ে উঠে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের আমদানি-নির্ভরশীল ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি করা সহজ হয়ে উঠে, কারণ সেখানে বাংলাদেশি টাকার মান কম। অর্থনীতির এই জটিল খেলায়, মুদ্রার বিনিময় হার একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বিনিময় হারের সুস্থিতি এবং স্থিতিশীলতা একটি দেশের অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য। তাই, বিনিময় হারের প্রতি সচেতন থাকা এবং তার প্রভাব বুঝে চলা প্রতিটি ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
শেষকথা: সিঙ্গাপুরের বৈচিত্র্যময় সমাজের মাঝে, মুসলিম সম্প্রদায় একটি অনন্য ও জীবন্ত ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। তাদের অবদান এবং সংস্কৃতি সিঙ্গাপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫% মুসলমান¹ হিসেবে প্রতিফলিত হয়।
এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা সিঙ্গাপুরের উন্নয়নে এবং সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে, যা দেশটির মুল্যবান সম্পদ। আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা যেন সিঙ্গাপুরের মুসলিম সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং তাদের জীবনধারার এক ঝলক পেতে পারেন, সেই প্রত্যাশায় লেখা।
মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url