রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম জেনে নিন

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহ। রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা। এই বিভাগের জেলাগুলো আম, লিচু, রেশম, শিক্ষা, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন। আমরা আরো জানবো রাজশাহী বিভাগের থানা কয়টি।
রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম জেনে নিন

রাজশাহী বিভাগের তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন কোন অংশ মিস করবেন না রাজশাহী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

ভূমিকা:

রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিভাগ। এই বিভাগের ইতিহাস প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী। এই বিভাগের অনেক এলাকা প্রাচীন বাংলার অংশ ছিল। এখানে পাল, সেন, মুঘল, আফগান, বর্মী, বৃহৎ মুঘল, বাদশাহী, নবাবী, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী শাসনের অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। এখানে সোমপুর বিহার, মহাস্থানগড়, 

পুঠিয়া রাজবাড়ী, বাঘা মসজিদ, কুসুম্বা মসজিদ, সোনা মসজিদ, রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, যমুনা সেতু ইত্যাদি প্রাচীন ও আধুনিক সভ্যতার প্রতীক হিসেবে বিখ্যাত।রাজশাহী বিভাগ ফলের রাজ্য হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে আম ও লিচুর জন্য। এখানে আলু, গাজর, চাল, পেঁয়াজ, গম, আখ, ডাল, মসলা, কলা ইত্যাদির মতো প্রচুর ফসল ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়। 

নওগাঁ বাংলাদেশের খাদ্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে জানব, রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম। রাজশাহী বিভাগের থানা কয়টি। রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন কয়টি। রাজশাহী জেলার পৌরসভার নাম। রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি। রাজশাহী জেলার

 মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। রাজশাহী জেলার কবি সাহিত্যিকদের নাম। রাজশাহী জেলার বিখ্যাত খাবার। এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করব তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম জেনে নিন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম। রাজশাহী সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহ: একটি পরিচয়রাজশাহী বাংলাদেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিভাগ। এই বিভাগের মোট আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি।

 রাজশাহী বিভাগের প্রধান নদী সমূহ হল: পদ্মা, যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা, করতোয়া। রাজশাহী বিভাগে মোট ৮টি জেলা রয়েছে, যাদের নাম এবং কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হল:রাজশাহী জেলারাজশাহী জেলা বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় সীমন্তবর্তী একটি জেলা। এই জেলাটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত। এই জেলার মোট আয়তন ২৪০৭.০১ বর্গকিলোমিটার। রাজশাহী

 জেলার উত্তরে নওগাঁ জেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, কুষ্টিয়া জেলা ও পদ্মা নদী, পূর্বে নাটোর জেলা, পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। রাজশাহী জেলার সদর হল রাজশাহী শহর, যা বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর ও আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহ হল: পুঠিয়া রাজবাড়ী, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর,

 কিসমত মারিয়া মসজিদ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।বগুড়া জেলা:বগুড়া জেলা রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলার মোট আয়তন ২৮৯৪.১০ বর্গকিলোমিটার। বগুড়া জেলার উত্তরে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলা, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ জেলা, পূর্বে জয়পুরহাট

 ও নওগাঁ জেলা, পশ্চিমে নাটোর জেলা। বগুড়া জেলার সদর হল বগুড়া শহর, যা বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম স্থায়ী সদর দপ্তর হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্ব রাখে।নাটোর জেলা:নাটোর জেলা রাজশাহী বিভাগের মধ্যভাগে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলার মোট আয়তন ১৯০১.৪৫ বর্গকিলোমিটার। নাটোর জেলার উত্তরে 

বগুড়া জেলা, দক্ষিণে রাজশাহী জেলা, পূর্বে নওগাঁ জেলা, পশ্চিমে পবনা জেলা। নাটোর জেলার সদর হল নাটোর শহর, যা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন রাজধানী ছিল। নাটোর জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহ হল: দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী, উত্তরা গণভবন, নাটোর রাজবাড়ী, চালকী মসজিদ, নাটোর সরকারি কলেজ, নাটোর মহিলা কলেজ, নাটোর সরকারি বালিকা
 বিদ্যালয় ইত্যাদি।নওগাঁ জেলা:নওগাঁ জেলা রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলার মোট আয়তন ৩৪৩৬.৮৭ বর্গকিলোমিটার। নওগাঁ জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রাজশাহী ও নাটোর জেলা, পূর্বে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলা, পশ্চিমে নদীরপাড়া জেলা। নওগাঁ জেলার সদর হল নওগাঁ শহর, যা বাংলাদেশের একটি

 প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। নওগাঁ জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহ হল: মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, চোটা সোনা মসজিদ, দুবলহাটি রাজবাড়ী, নওগাঁ কলেজ, নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, নওগাঁ সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ইত্যাদি।পবনা জেলা:পবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলার 

মোট আয়তন ২৩৭৯.৬৩ বর্গকিলোমিটার। পবনা জেলার উত্তরে নাটোর জেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী, পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে কুষ্টিয়া জেলা। পবনা জেলার সদর হল পবনা শহর, যা বাংলাদেশের একটি শিল্প ও কৃষি শহর। পবনা জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান সমূহ হল: পবনা ক্যাডেট কলেজ, পবনা জাতীয় মেডিকেল কলেজ, পবনা ইসলামিয়া কলেজ, পবনা

 জেলা জাদুঘর, পবনা জেলা স্টেডিয়াম, পবনা বিশ্ববিদ্যালয়, পবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ইত্যাদি।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা:চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা রাজশাহী বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এই জেলা আমের জন্য বিখ্যাত আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

রাজশাহী বিভাগের থানা কয়টি জেনে নিন

আজকের আর্টিকেলে প্রথমে আমরা আলোচনা করেছি, রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম নিয়ে। এখন আমরা আলোচনা করব রাজশাহী বিভাগের থানা বা উপজেলা কয়টি বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের আর্টিকেল।আপনার প্রশ্নের উত্তর হল, রাজশাহী বিভাগে মোট ৮টি জেলা এবং ৬৭টি উপজেলা রয়েছে। এই বিভাগের জেলা ও উপজেলা সমূহের 

নাম নিম্নে দেওয়া হল:রাজশাহী জেলা: এই জেলাটি বিভাগের প্রধান জেলা এবং এর নামকরণ হয়েছে রাজার শহর অর্থাৎ রাজশাহীর নামে। এই জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে, যারা হলেন: রাজশাহী সদর, পুঠিয়া, বাঘা, চারঘাট, দুর্গাপুর, বাগমারা, মোহনপুর, তানোর ও গোদাগাড়ী। এই জেলার বুকভরা মসজিদ, পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাগহা শাহী মসজিদ, বরেন্দ্র 

গবেষণা মুজিয়াম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যবাহী স্থান।নওগাঁ জেলা: এই জেলাটি বাংলাদেশের খাদ্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় ১১টি উপজেলা রয়েছে, যারা হলেন: নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, আত্রাই, রাণীনগর, পত্নীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, পোরশা, বদলগাছি ও মান্দা। এই জেলার মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, নওগাঁ রাজবাড়ি, 

চুপি দীঘি ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী স্থান।নাটোর জেলা: এই জেলাটি বাংলাদেশের রাজত্বের উত্স হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে, যারা হলেন: নাটোর সদর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, লালপুর ও নালডাঙ্গা। এই জেলার নাটোর রাজবাড়ি, উত্তরা গণভবন, চলন বিল, বাঙ্গালীর মা স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য স্থান।পাবনা জেলা: এই জেলাটি

 বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে, যারা হলেন: পাবনা সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাঙ্গুরা, চাটমোহর, ফরিদপুর, ইসলামপুর, সুজানগর ও সাঁথিয়া। এই জেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাকসেই

 জাতীয় উদ্যান, সাগর দীঘি, সরকার এডওয়ার্ড কলেজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য স্থান।সিরাজগঞ্জ জেলা: এই জেলাটি বাংলাদেশের প্রথম সেতু হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় ৯টি উপজেলা রয়েছে, যারা হলেন: সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালি, কামারখান্দা, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তারাশ, উল্লাপাড়া ও কাজীপুর। এই জেলার বাংলাবান্ধা সেতু, রাবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, চলন বিল.

রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন কয়টি জেনে নিন

আমরা আজকের আর্টিকেলে, রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম, ও উপজেলা সমূহের নাম নেয়া ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি এখন আমরা জানবো রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন কয়টি।আপনার প্রশ্নটি অনুযায়ী, রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন সংখ্যা হলো ৭১টি। এই ইউনিয়নগুলো রাজশাহী জেলার ৯টি

 উপজেলার মধ্যে বিভক্ত। নিম্নে উপজেলা ও ইউনিয়নের নাম দেওয়া হলো:গোদাগাড়ী উপজেলা: গোদাগাড়ী, মোহনপুর, পাকড়ী, রিশিকুল, গোগ্রাম, মাটিকাটা, দেওয়াপাড়া, বাসুদেবপুর, চর আষাড়িয়াদহ।
  • চারঘাট উপজেলা: ইউসুফপুর, শলুয়া, সরদহ, নিমপাড়া, চারঘাট, ভায়ালক্ষীপুর।
  • তানোর উপজেলা: কলমা, বাধাইড়, পাঁচন্দর, সরঞ্জাই, তালন্দ, কামারগাঁ, চান্দুড়িয়া।
  • দুর্গাপুর উপজেলা: নওপাড়া, কিসমত গণকৈড়, পানানগর, দেলুয়াবাড়ি, মাড়িয়া, ঝালুকা, জয়নগর।
  • পুঠিয়া উপজেলা: পুঠিয়া, বেলপুকুরিয়া, বানেশ্বর, ভালুকগাছী, চারবানিপাড়া, আহমদপুর, বাঘমারা।
  • পবা উপজেলা: পবা, বাঘানবাড়ি, পাহাড়িপুর, দামকুড়া, হরিপুর, কানাইল, কাউড়াইল, পাকরিয়া।
  • বাগমারা উপজেলা: বাগমারা, আরানী, হরিগ্রাম, কাতলাইয়া, গোডাগাড়ি, চারফাসন, সালমাবাড়ি, বাহাদুরপুর, বারইদহ, বাঘানবাড়ি।বাঘা
  • উপজেলা: বাঘা, চাউলিয়া, মালিমান্দা, বারইদহ, কান্দি, বাঘানবাড়ি, বাঘানবাড়ি সদর, বাঘানবাড়ি পূর্ব, বাঘানবাড়ি পশ্চিম।
  • মোহনপুর উপজেলা: মোহনপুর, বালিয়াডাঙ্গি, বারইদহ, বাঘানবাড়ি, বাঘানবাড়ি সদর, বাঘানবাড়ি পূর্ব, বাঘানবাড়ি পশ্চিম। আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

রাজশাহী জেলার পৌরসভার নাম

ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেলের রাজশাহী বিভাগের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, যেমন, রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম। এখন আমরা আলোচনা করব রাজশাহী জেলার পৌরসভার নাম।রাজশাহী জেলায় মোট ১৪টি পৌরসভা রয়েছে। তারা হলেনঃগোদাগাড়ি পৌরসভা: এটি রাজশাহী

 জেলার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১৫.৩৫ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৩০,৬৪৯।তানোর পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১৫.৫৫ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৩৬,৬০৮।
  • আড়ানী পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার মধ্যপ্রান্তে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.৫৯ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৫,৬০৯।
  • চারঘাট পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১৬.৫৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ৩৫,৯৬২।
  • দূর্গাপুর পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.৫৭ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৫,৪৫০।
  • তাহেরপুর পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.৩৫ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৩,৬০০।
  • ভবানীগঞ্জ পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার উত্তর অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৫,৫৫০।
  • পুঠিয়া পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার পূর্ব অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৬,৫০০।
  • নওহাটা পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৫,০০০।
  • কাটাখালী পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৪,৫০০।
  • কাঁকনহাট পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। এর আয়তন ১০.১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৪,০০০।
  • মুন্ডুমালা পৌরসভা: এটি রাজশাহী জেমুন্ডু মালা পৌরসভা রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার একটি পৌরসভা। এর আয়তন ১০.১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৪,৫০০। এটি রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।এরউত্তরে কাটাখালী পৌরসভা, পূর্বে চারঘাট পৌরসভা,দক্ষিণেনওহাটা পৌরসভা এবং পশ্চিমে দূর্গাপুর পৌরসভা রয়েছে। আশা করি আপনার উত্তরটি পেয়েছেন।

রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তির নাম

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা রাজশাহী বিভাগের, রাজশাহী বিভাগের জেলা রাজশাহী বিভাগের উপজেলা। রাজশাহী বিভাগের পৌরসভা এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তৃত আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানবো রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিরনামরাজশাহীবাংলাদেশেরউত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এই জেলার পরিচিতি ও গৌরব

 বৃদ্ধি করেছেন অনেক কৃতিত্বপূর্ণ ও বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির নাম ও কার্যকলাপ নিম্নে উল্লেখ করা হলঃমাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অগ্রণী নেতা ও মজলুম জনগণের প্রতিনিধি। তিনি ছিলেন কৃষক সমিতি, আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও ইসলামী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও 

নেতা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয়  থানারশান্তিপুরগ্রামেজন্মগ্রহণকরেনরাধাগোবিন্দ বসাক: বাংলার প্রথম স্বাধীন প্রকাশক ও সাহিত্যিক। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি প্রকাশ করেন বাংলার প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা 'সমাচার দর্পণ'। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাঘানবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।মুখলেসুর রহমান:

 বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অগ্রণী নেতা। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য। তিনি রাজশাহীর বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।কবি শুকুর মাহমুদ: বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত কবি, লেখক ও শিক্ষাবিদ। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সমকালীন

 কবি। তিনি প্রকাশ করেন অনেকগুলো কবিতা সংকলন, উপন্যাস, গল্প, নাটক, গবেষণা ও আলোচনা গ্রন্থ। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কামারগাছা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।রজনীকান্ত সেন: বাংলার একজন প্রখ্যাত কবি, লেখক ও সাহিত্যিক। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক কবি। তিনি প্রকাশ করেন অনেকগুলো কবিতা সংকলন, উপন্যাস, গল্প,

 নাটক, গবেষণা ও আলোচনা গ্রন্থ। তিনি রাজশাহীর নাটোর জেলার কালিয়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।রানী ভবানী: রানী ভবানী একজন বিখ্যাত ও দানশীল জমিদার ছিলেন, যিনি নাটোরের রাজবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। তিনি বাংলার নওয়াবদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে প্রায় চার দশক রাজশাহীর জমিদারি রক্ষা করেন। তিনি বিভিন্ন

 ধর্মীয় ও জনকল্যাণকর কাজে অর্থ ও ভূমি দান করেন। তার মধ্যে রাণী ভবানীর রাজবাড়ি, শ্যামসুন্দর মন্দির, আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দির, তারকেশ্বর শিব মন্দির, উত্তরা গণভবন, দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, চলন বিল, চলনবিল জাদুঘর, হালতি বিল, লালপুরের পদ্মার চর, বুধপাড়া কালীমন্দির ও ধরাইল জমিদার বাড়ি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

রাজশাহী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও ইতিহাস

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাজশাহী জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই জেলার অনেক মুক্তিযোদ্ধা সাহসী কর্মকান্ড ও শহীদি দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রাখেন। এই আর্টিকেলে আমরা রাজশাহী জেলার কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ইতিহাস সম্পর্কে জানবো।রাজশাহী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত 

হলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন বিন মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন। তিনি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার কামারখান্দা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তিনি এই যুদ্ধে শহীদ হন। তাঁর শহীদির জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার

 থেকে বীর প্রতীক বীরশ্রেষ্ঠ পদক পেয়েন। রাজশাহী জেলার আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বিন মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। তিনি রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তিনি এই যুদ্ধে শহীদ 

হন। তাঁর শহীদির জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার থেকে বীর প্রতীক বীরউত্তম পদক পেয়েন। রাজশাহী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আরও কিছু নাম হলেন মোহাম্মদ জামাত আলী, মোহাম্মদ বয়েজ উদ্দিন, মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ আব্দুল মাজিদ

, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম, মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ আব্দুল হায়, মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, মোহাম্মদ আব্দুল করিম, মোহাম্মদ আব্দুল খালেক।

রাজশাহী জেলার বিখ্যাত খাবার

রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শহর। এটি পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী শহর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভান্ডার। এই শহর তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র, আম, লিচু এবং মিষ্টান্ন সামগ্রীর জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। রাজশাহী যাওয়ার সময় 

আপনি যদি এই শহরের বিশেষ কিছু খাবার চেখে দেখতে না পারেন তাহলে আপনার ভ্রমণটি অসম্পূর্ণ থাকবে। তাই আজকে আমরা আপনাকে রাজশাহীর তিনটি বিখ্যাত খাবারের কথা বলব।কালাই রুটি: কালাই রুটি হলো বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি সংরক্ষণযোগ্য খাবার যা মাষ কলাই ও আতপ চালের

 আটা বা ময়দা, লবণ এবং পানি দিয়ে তৈরি করা হয়। কালাই-রুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলেও তা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরে। আপনি ভোজনরসিক, রাজশাহী নগরেও গিয়েছেন, অথচ একবার হলেও কালাই-রুটি পাতে নিয়ে বসেননি-দুঃখিত পাঠক, আপনার জন্য আফসোস হচ্ছে! বর্তমানে রাজশাহী নগরে কালাই-রুটির অন্তত ১০০টি 

দোকান গড়ে উঠেছে। দোকানগুলোর নামও বেশ চমৎকার। কালাইঘর, কালাইবাড়ি, হাঁরঘে কালাই–এমন বাহারি সব দোকান রয়েছে নগরীর মোড়ে-মোড়ে। সকাল থেকে রাতদুপুর পর্যন্ত খোলা থাকে এসব দোকান। কালাই রুটি কালাই রুটির সাথে সাধারণত বেগুন ভর্তা, শুকনো মরিচ ভর্তা, বট, পেঁয়াজ ভর্তা, মাংস ভুনা ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এসবের সাথে

 রুটির টুকরো ছিড়ে গরম গরম খাওয়া হয়। কালাই-রুটি দিয়ে এখন রাজশাহীতে অতিথি আপ্যায়নও করা হয়। মেয়র, পুলিশ কমিশনার, ডিসি ও এসপি’র বাসায় বাইরের কোনো অতিথি এলে সেখানে কালাই-রুটি বানিয়ে খাওয়ানো হয়। এছাড়া, বড় অনুষ্ঠানে অন্যান্য খাবারের সাথে কালাই-রুটি যেন মূল অনুসঙ্গ হয়ে গেছে।

শেষ কথা: প্রিয় পাঠক আজকে আর্টিকেলটিতে আমরা জেনেছি, রাজশাহী বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নাম। রাজশাহী বিভাগের থানা কয়টি। রাজশাহী জেলার ইউনিয়ন কয়টি। রাজশাহী জেলার পৌরসভার নাম। রাজশাহী জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি। রাজশাহী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা।

 রাজশাহী জেলার বিখ্যাত খাবার, নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা কি ভাল লেগেছে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি আপনার আত্মীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url