জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম জানতে চান? এই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জানুন কিভাবে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন কপি অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন। এই আর্টিকেলটি আপনাকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি শেখাবে।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কত টাকা লাগে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলে।

ভূমিকা:

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম হলো একটি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি যেটি বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনলাইনে দেখা যায়। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের সঠিকতা, অনলাইন কপি, যাচাই কোড এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এই পদ্ধতিটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেমন পাসপোর্ট, ট্রেড লাইসেন্স, টিকা, বিয়ে, চাকরি ইত্যাদি। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম। 

জন্ম নিবন্ধনে অনলাইন করতে কত টাকা লাগে। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে। বুঝতে পারছেন আজকের আর্টিকেলটি কেমন হতে যাচ্ছে তাই সব বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম

নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা জন্ম নিবন্ধন হলো। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা একজন ব্যক্তির জন্মের তারিখ, স্থান, নাম, লিঙ্গ, মাতা-পিতার নাম এবং অন্যান্য তথ্য রেজিস্টার করে রাখে। জন্ম নিবন্ধন সনদ হলো একটি আইনি দলিল যা একজন ব্যক্তির।

 নাগরিকত্ব, বয়স, শিক্ষা, বিবাহ, ভোট, পাসপোর্ট, বীমা, সমাজসেবা এবং অন্যান্য সুবিধার জন্য প্রয়োজন হয়।বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করানো বাধ্যতামূলক। এই আইনের অধীনে জন্ম নিবন্ধন করানো না থাকলে কোনো সরকারি কাজের জন্য আবেদন করা যাবে না।

তাই প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করানো এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ সংরক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম।জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:প্রথমে আপনাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট ¹ এ ভিজিট করতে হবে।

 তারপর আপনাকে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখতে হবে। জন্ম তারিখ লিখার ফরম্যাট হলো YYYY-MM-DD। যেমন, ১৯৯০-০১-০১এরপর আপনাকে একটি গাণিতিক ক্যাপচা প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। যেমন, ৫+৩=? তারপর আপনাকে সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে। যদি আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক হয়, তাহলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনের।

সকল তথ্য দেখতে পাবেন। যেমন, আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম স্থান, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম নিবন্ধন করার তারিখ ইত্যাদি।যদি আপনার দেওয়া তথ্য ভুল হয়, তাহলে আপনি একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পাবেন। যেমন, "দুঃখিত, আপনার দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। দয়া করে আবার চেষ্টা করুন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

জন্ম নিবন্ধন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র যা আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ভোটার তালিকা, বৈবাহিক নিবন্ধন, শিক্ষার সনদ, চাকরির আবেদন ইত্যাদির জন্য প্রয়োজন। জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আমাদের অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং একটি জন্ম নিবন্ধন নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু কিভাবে আমরা জানবো যে আমাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা।

কিভাবে আমরা আমাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করবো? এই আর্টিকেলে আমি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করবো।জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার জন্য আমাদের প্রথমে আমাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর জানতে হবে। জন্ম নিবন্ধন নম্বর হলো একটি ১৭ ডিজিটের সংখ্যা যা আমাদের জন্ম নিবন্ধন সনদে দেখা যায়। 

এই নম্বরের প্রথম ৪ ডিজিট হলো আমাদের জন্ম সাল। যেমন, যদি কেউ ১৯৯৯ সালে জন্ম নিয়ে থাকেন তাহলে তার জন্ম নিবন্ধন নম্বরের প্রথম ৪ ডিজিট হবে ১৯৯৯।জন্ম নিবন্ধন নম্বর জানার পর আমাদের এই নম্বরটি অনলাইনে যাচাই করতে হবে। এর জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই লিংকে ক্লিক করতে হবে। 

তারপর আমাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্ম তারিখ ও নাম লিখে যাচাই করতে হবে। যদি আমাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে থাকে তাহলে আমরা আমাদের জন্ম নিবন্ধন তথ্য দেখতে পারবো। যদি না থাকে তাহলে আমাদের নতুন করে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে।জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার জন্য আরেকটি উপায় হলো এসএমএস পাঠানো।

 এর জন্য আমাদের একটি টেলিটক সিম থাকতে হবে। তারপর আমাদের মোবাইল থেকে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে যেখানে আমাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখতে হবে। এসএমএস পাঠানোর নিয়ম হলো-টাইপ করুন BRIS <স্পেস> <জন্ম নিবন্ধন নম্বর> এবং ২৬২৪ নম্বরে পাঠিয়ে দিন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কত টাকা লাগে

জন্ম নিবন্ধন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এটি একজন ব্যক্তির প্রাথমিক পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া কোন সরকারি বা বেসরকারি সেবা বা সুবিধা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন করা উচিত।জন্ম নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে।

আপনি যদি নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে, আপনাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট এ ভিজিট করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমে আপনার নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, পিতা-মাতার নাম, জন্মস্থানের ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। ফরম পূরণ করার পর, আপনাকে একটি অনুমোদন কোড পাঠানো হবে আপনার মোবাইলে। 

এই কোড দিয়ে আপনি আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন।এরপর, আপনাকে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা অফিসে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন ফি পরিশোধ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ফি হলো সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। ফি পরিশোধের প্রমাণ হিসেবে আপনি একটি মানি রিসিট পাবেন। এই রিসিট দিয়ে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে পারবেন।

আপনি যদি আগে থেকেই জন্ম নিবন্ধন করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার প্রয়োজন হতে পারে। কেননা বর্তমানে কোন সরকারি কাজের জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি দেখাতে হবে। আপনি যদি জানতে চান আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কিনা, তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কাগজপত্র লাগে

জন্ম নিবন্ধন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র যা প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক। জন্ম নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে কিছু কাগজপত্র ও তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনি এই কাজটি অনলাইনেও সম্পন্ন করতে পারেন। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে।

প্রথমে, আপনাকে [11](https://bdris.gov.bd/) ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জন্ম নিবন্ধন আবেদন লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। তারপর, আপনার জন্ম ঘটেছে সেই ঠিকানার জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন বা পৌরসভা নির্বাচন করতে হবে।এরপর, আপনার নাম, জন্ম তারিখ, পিতা ও মাতার নাম, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতীয়তা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য পূরণ করতে হবে।

 এরপর, আপনার একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে।এরপর, আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে একটি ওটিপি (একবারের জন্য পাসওয়ার্ড) পাঠানো হবে। আপনাকে ওটিপি টি ভেরিফাই করতে হবে।এরপর, আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আপনি আবেদনের একটি প্রিন্ট কপি নিতে পারেন।তারপর, আপনাকে আবেদনের প্রিন্ট কপি সহ নিচের কাগজপত্রগুলি নিয়ে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়া লাগবেঃ
  • ইপিআই (টিকা) কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • শিশুর এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি (বয়সের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন)এরপর, ইউনিয়ন পরিষদ কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি যাচাই করে আপনাকে একটি অনুমোদন কোড দেবে। আপনি এই কোডটি ব্যবহার করে অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের।

শেষ কথা: প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন চেক করার নিয়ম। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করার নিয়ম। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কত টাকা লাগে। 

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে যদি কিছু জেনে থাকেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url