ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিত জানুন
আপনি কি ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার
জন্য। এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার পুরো প্রক্রিয়া ধাপে
ধাপে শেখাবো। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়েন, তাহলে আপনি খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও
আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এ নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা
করব।
ভূমিকা:
আপনি কি ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। এই লেখাটিতে আমি আপনাকে বলবো কিভাবে আপনি সহজেই ভিডিও
বানিয়ে ইউটিউব, ফেসবুক, রিল বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে টাকা ইনকাম
করতে পারেন।ভিডিও বানানো একটি ক্রিয়েটিভ এবং মজাদার কাজ।
আপনি যদি আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে ভিডিও বানান, তাহলে আপনি নিজেকে বিনোদন
করতে পারেন এবং সাথে সাথে অন্যদেরকেও বিনোদন দিতে পারেন। এছাড়াও, আপনি আপনার
ভিডিওগুলোকে মনেতিজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।কিন্তু ভিডিও বানানো
এবং টাকা ইনকাম করা একই কথা নয়।
আপনার ভিডিওগুলো যদি দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় এবং মানসম্মত হয়, তাহলে আপনি
ভালো ইনকাম করতে পারেন। তাই আপনার ভিডিওগুলো বানাতে হবে সুন্দর, আকর্ষণীয়
এবং মানুষের মতো।কিভাবে সেটা করবেন? চলুন আমি আপনাকে কিছু টিপস দিয়ে দেই।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো, ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি।
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম। ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়। বুঝতেই
পারছেন আজকের আর্টিকেলটি কেমন হতে যাচ্ছে তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন কোন অংশ
মিস করবেন না।
ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিত জানুন
আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি, ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। এ নিয়ে
এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন তাহলে শুরু করা যাক।আজকাল অনলাইনে
টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকর
উপায় হলো ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা।
ভিডিও বানানো একটি সৃজনশীল কাজ যা আপনাকে আপনার জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং
আগ্রহ অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিডিও বানানোর মাধ্যমে
আপনি অন্যদের সাথে আপনার ভিডিও শেয়ার করে তাদের সাথে যোগাযোগ, শিক্ষা,
বিনোদন, প্রচার এবং প্রভাব তৈরি করতে পারেন।কিন্তু শুধু ভিডিও বানালেই টাকা
ইনকাম হবে না।
আপনাকে আপনার ভিডিওকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে হবে যেখানে
আপনার ভিডিও দেখে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে
সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত হলো ইউটিউব (YouTube)। ইউটিউব একটি ভিডিও
শেয়ারিং ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার ভিডিও আপলোড করে এবং আপনার।
ভিডিওতে বিজ্ঞাপন (ads) দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।ইউটিউব থেকে
টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই ধাপগুলো
হলো:ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করুন। আপনার চ্যানেলের নাম, লোগো, ব্যানার,
বর্ণনা এবং ক্যাটাগরি সেট করুন। আপনার চ্যানেলের নাম এবং লোগো আপনার ভিডিওর
বিষয় অনুযায়ী সম্পর্কিত এবং আকর্ষণীয় হতে হবে।
আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করুন। আপনার ভিডিও হতে হবে কপিমুক্ত, মানসম্পন্ন,
শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক এবং দর্শকদের আগ্রহ বাধক। আপনার ভিডিওর শিরোনাম,
থাম্বনেইল, ট্যাগ, বর্ণনা এবং সাবটাইটেল আপনার ভিডিওর সাথে মিলিয়ে যায় এবং
এসইও (SEO) বান্ধব হয় এমন ভাবে সেট করুন।
ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
এই আর্টিকেলের শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছি। ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম
করা যায়। এখন আমরা আলোচনা করব ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।ভিডিও
বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ভিডিও বানানো একটি জনপ্রিয় এবং সহজ
উপায় যা দিয়ে আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ভিডিও বানানোর জন্য আপনার কেবল একটি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, এবং ভিডিও
সম্পাদনা সফটওয়্যার প্রয়োজন। আপনি যে কোনো বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন,
যেমন শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, রান্না, সফর, ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট, ইত্যাদি।ভিডিও
বানানোর পর আপনার এটি ইন্টারনেটে শেয়ার করতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে ভালো
প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব।
ইউটিউব একটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট যেখানে আপনি নিজের চ্যানেল তৈরি করে
আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন। ইউটিউবে আপনার ভিডিও দেখার জন্য আপনার অনেক
দর্শক এবং সদস্য পাওয়া উচিত। এই উপায়ে আপনি আপনার ভিডিও থেকে টাকা আয় করতে
পারেন।আপনার প্রশ্নের উত্তর চালিয়ে বলছি আপনার পরবর্তী সৃজনশীল প্রকল্পের
জন্য ক্রাউডফান্ডিং করুন।
আপনি আপনার ভিডিও বানানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন ক্রাউডফান্ডিং
প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি হলো কিকস্টার্টার, ইন্ডিগোগো,
প্যাট্রিয়ন, ইত্যাদি। আপনি এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার প্রকল্পের বিবরণ,
লক্ষ্য, সময়সীমা, এবং পুরস্কার দিতে পারেন। আপনার দর্শকদের আপনার প্রকল্পে
বিশ্বাস করতে এবং অর্থ দান করতে উত্সাহিত করতে পারেন।
স্পন্সরড ভিডিও বানান। আপনি আপনার ভিডিওতে কোনো পণ্য, সেবা, বা ব্র্যান্ডের
প্রচার করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে সেই পণ্য, সেবা, বা ব্র্যান্ডের সাথে একটি
চুক্তি করতে হবে। আপনি এই চুক্তির মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বা
অন্য কোনো সুবিধা পেতে পারেন। আপনি আপনার ভিডিওতে স্পন্সরকে উল্লেখ করতে
পারেন।
এবং তাদের পণ্য, সেবা, বা ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, এবং ক্রয়ের লিঙ্ক
দিতে পারেন।এই রকম করে আপনি আপনার ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আশা
করি আপনার এই আর্টিকেলটি ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে আয় করার 12 পদ্ধতি
আজকের আর্টিকেলে আমরা প্রথম থেকে আলোচনা করে আসছি। ভিডিও বানিয়ে কিভাবে টাকা
ইনকাম করা যায় সেই ধারা মতে। এখন আমরা আলোচনা করব ইউটিউব থেকে আয় করার 12
পদ্ধতি নিয়ে।ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে
আপনি যে কোনো ধরনের ভিডিও আপলোড করে দর্শকদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
এছাড়া আপনি ইউটিউব থেকে ভালো মানের আয় করতে পারেন বিভিন্ন উপায়ে। এই
আর্টিকেলে আমরা ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
১. বিজ্ঞাপন: এটি হল ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি।
আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচ টাইম
পূরণ করে থাকেন, তাহলে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে
পারেন। একবার আপনার চ্যানেল মনিটাইজ হয়ে গেলে, আপনার ভিডিওতে ইউটিউব বিভিন্ন
ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে।
আপনি প্রতি হাজার ভিউ অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবেন। এই টাকার
পরিমাণ ভিডিওর কন্টেন্ট, দর্শকের অবস্থান, বিজ্ঞাপনের ধরন ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী
পরিবর্তিত হয়।
২. মার্চেনডাইজিং: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এক লক্ষ সাবস্ক্রাইবার পূরণ করে
থাকেন, তাহলে আপনি ইউটিউব মার্চেনডাইজিং ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি হল
একটি উপায় যেখানে আপনি আপনার নিজস্ব পণ্য যেমন টি-শার্ট, মগ, ব্যাগ, হ্যাট
ইত্যাদি বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
আপনি এই পণ্যগুলো তৈরি করতে পারেন নিজে অথবা কোনো থার্ড পার্টি সার্ভিস
ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই পণ্যগুলো আপনার ভিডিওর নিচে দেখাতে পারেন এবং
দর্শকদের কেনার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।
৩.চ্যানেল মেম্বারশিপ: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার পূরণ
করে থাকেন, তাহলে আপনি চ্যানেল মেম্বারশিপ ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি
হল একটি উপায় যেখানে আপনি আপনার দর্শকদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নেবেন এবং
তাদের কে অতিরিক্ত কনটেন্ট, বাদ্জ, ইমোজি, লাইভ চ্যাট ইত্যাদি সুবিধা দেবেন।
এই উপায়ে আপনি আপনার দর্শকদের সাথে একটি বন্ধন তৈরি করতে পারেন এবং আয় বাড়াতে
পারেন।
৪. সুপার চ্যাট ও সুপার স্টিকার: আপনি যদি থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে ভালো
পরিমাণের একটা টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৫. স্পনসরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে ভালো করে থাকেন এবং
একটি নির্দিষ্ট নিচের ভিডিও বানান, তাহলে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও কোম্পানির
সাথে স্পনসরশিপ ও ডিল করতে পারেন। এই উপায়ে আপনি আপনার ভিডিওতে তাদের পণ্য বা
সার্ভিস প্রচার করে তাদের কাছ থেকে টাকা পাবেন। এই পদ্ধতিতে আয় করার জন্য
আপনাকে আপনার চ্যানেলের সম্পর্কে ব্র্যান্ডদের জানাতে হবে এবং তাদের শর্তাবলী
মেনে চলতে হবে।
৬. ক্রাউডফান্ডিং: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কোনো বড় প্রকল্প বা ক্রিয়েটিভ
কনটেন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে
আপনার দর্শকদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা চাইতে পারেন। এই উপায়ে আপনি আপনার
প্রকল্পের খরচ কমাতে পারেন এবং আপনার দর্শকদের কে আপনার প্রকল্পের অংশীদার
হিসেবে অনুভূতি করাতে পারেন। ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের কিছু উদাহরণ হলো
প্যাট্রিয়ন, কিকস্টার্টার, ইন্ডিয়গোগো ইত্যাদি।
৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি
আপনার ভিডিওতে কোনো পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে বলে এবং তার লিংক দেখান। যদি
কেউ আপনার লিংক দিয়ে সেই পণ্য বা সার্ভিস কিনে, তাহলে আপনি তার একটি কমিশন
পাবেন।
এই পদ্ধতিতে আয় করার জন্য আপনাকে কোনো পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করতে হয় না,
শুধু মাত্র তাদের প্রচার করতে হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু উদাহরণ হলো
আমাজন, ফ্লিপকার্ট, ডারাজ, হোস্টিং কোম্পানি ইত্যাদি।
৮. ডিজিটাল পণ্য বিক্রি: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কোনো শিক্ষামূলক বা
বিনোদনমূলক ভিডিও বানান, তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব ডিজিটাল পণ্য যেমন ই-বুক,
কোর্স, সফটওয়্যার, গেম, মিউজিক, আর্টওয়ার্ক ইত্যাদি বিক্রি করে আয় করতে
পারেন।
এই পণ্যগুলো আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে বা কোনো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি
করতে পারেন। এই পণ্যগুলো আপনার ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত হলে আপনি আরো বেশি
বিক্রি করতে পারেন।
আপনার চ্যানেলের দর্শকদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা চাইতে পারেন। এই উপায়ে আপনি
আপনার প্রকল্পের খরচ কমাতে পারেন এবং আপনার দর্শকদের কে আপনার প্রকল্পের
অংশীদার হিসেবে অনুভূতি করাতে পারেন। ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের কিছু
উদাহরণ হলো প্যাট্রিয়ন, কিকস্টার্টার, ইন্ডিয়গোগো ইত্যাদি।
৯. কনসাল্টেন্সি ও কোচিং: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কোনো বিশেষ দক্ষতা, জ্ঞান
বা অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিডিও বানান, তাহলে আপনি আপনার দর্শকদের কাছ থেকে
কনসাল্টেন্সি ও কোচিং সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন। এই উপায়ে আপনি আপনার
দর্শকদের কে আপনার বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, মেন্টরিং
ইত্যাদি দেবেন। এই সার্ভিসগুলো আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে বা কোনো অনলাইন
প্ল্যাটফর্মে দেখাতে পারেন।
১০. লাইভ স্ট্রিমিং: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে লাইভ স্ট্রিমিং করেন, তাহলে
আপনি আপনার দর্শকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের প্রশ্ন,
মন্তব্য, পরামর্শ, ফিডব্যাক ইত্যাদি নিতে পারেন। এই উপায়ে আপনি আপনার
দর্শকদের সাথে।
একটি সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন এবং তাদের কে আপনার চ্যানেলের নিয়মিত
দর্শক হিসেবে রাখতে পারেন। লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন
সুপার চ্যাট, সুপার স্টিকার, চ্যানেল মেম্বারশিপ, স্পনসরশিপ, ডোনেশন ইত্যাদি
উপায়ে।
১১. প্রিমিয়াম কনটেন্ট: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে অতিরিক্ত কনটেন্ট তৈরি করেন,
তাহলে আপনি সেগুলো প্রিমিয়াম কনটেন্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। এই
কনটেন্টগুলো হতে পারে আপনার ভিডিওর বিস্তারিত ভার্সন, বেহিন্দ দ্যা সিন,
এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ, কিছু বিশেষ।
টিপস ও ট্রিকস, এক্সট্রা ফিচার ইত্যাদি। এই কনটেন্টগুলো আপনি আপনার
নিজের ওয়েবসাইটে বা কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। এই
কনটেন্টগুলো আপনার দর্শকদের কে আপনার চ্যানেলের লয়াল ফ্যান হিসেবে রাখতে
সাহায্য করবে।
১২. লাইসেন্সিং ও সিনডিকেশন: আপনি যদি আপনার চ্যানেলে কোনো উচ্চ মানের ভিডিও
বানান, তাহলে আপনি সেগুলো লাইসেন্সিং ও সিনডিকেশন এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
এই উপায়ে আপনি আপনার ভিডিওগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন বা অন্য মিডিয়ার
মাধ্যমে।
ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় জেনে নিন
আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান? তাহলে আপনার একটি মনিটাইজযুক্ত ইউটিউব
চ্যানেল এবং একটি গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স
একাউন্টে আপনার ঠিকানা, ব্যাংক একাউন্ট এবং অন্যান্য তথ্য যুক্ত করে নিতে
হবে। এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে বলবো।
ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় হলো ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা তোলা। এই পদ্ধতিতে
আপনার ব্যাংক একাউন্টে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ডলার পাঠানো হয় এবং ব্যাংক সেই
ডলারকে টাকায় রুপান্তর করে দেয়। এই পদ্ধতিতে টাকা তোলার জন্য আপনাকে কিছু
ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এগুলো হলো:প্রথমে আপনার গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টে আপনার
সঠিক ঠিকানা যুক্ত করুন।
এটা করার জন্য আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সে লগইন করে বাম পাশের মেনু থেকে পেমেন্ট
অপশনে ক্লিক করুন। তারপর ম্যানেজ পেমেন্ট মেথড অপশনে ক্লিক করে আপনার ঠিকানা
যুক্ত করুন। আপনার ঠিকানা যুক্ত হওয়ার পর গুগল আপনাকে একটি পিন কোড পাঠাবে
আপনার ঠিকানায়। এই পিন কোডটি আপনার ঠিকানা ভেরিফাই করার জন্য
প্রয়োজন।
পিন কোডটি পেয়ে গেলে আবার গুগল অ্যাডসেন্সে লগইন করে পিন কোডটি ভেরিফাই
করুন।দ্বিতীয়ে আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলুন যেখানে আপনি ইউটিউব থেকে
টাকা তুলতে চান। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড,
পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির নাম এবং ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নিয়ে যেতে হবে।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার নাম এবং অন্যান্য তথ্য যেন গুগল অ্যাডসেন্সে
দেওয়া তথ্যের সাথে মিলে যায়। অন্যথায় আপনার পেমেন্ট প্রক্রিয়া হতে পারে
না। ব্যাংক একাউন্ট খুলতে গেলে আপনি যে ব্যাংকটি নির্বাচন করবেন তা গুগল
অ্যাডসেন্সের সাথে সমর্থিত হতে হবে।
শেষ কথা: প্রিয় পাঠক আজকের
আর্টিকেলে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে
ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি। ভিডিও
বানিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।
ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি।
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম। ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়। আশা করি
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে আপনি অনেক কিছু শিখতে
পেরেছেন আশা করি। আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে যদি কিছু শিখে
থাকেন। তাহলে আপনার আত্মীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url