রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত জেনে নিন
রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত? জেনে নিন বাংলাদেশের তৃতীয় জনবহুল বিভাগের অবদান,
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সৌন্দর্য। রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা, আয়তন, জেলা ও নদীর
বিস্তারিত তথ্য পেতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন। আজকে রাতে গেলে আরো জানতে পারবেন
,রাজশাহী বিভাগের সংসদে আসন কয়টি।
রাজশাহী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন কোন অংশ
মিস করবেন না। রাজশাহী সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত পড়তে হবে।
ভূমিকা:
বাংলাদেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত রাজশাহী বিভাগ একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী
অঞ্চল। এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রত্নস্থান দেখা যায়, যেমন সোমপুর বিহার,
মহাস্থানগড়, বাঘা মসজিদ, কুসুম্বা মসজিদ, সোনা মসজিদ ইত্যাদি। এই বিভাগের
জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩৪ লাখ এবং আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার। এই বিভাগে
আটটি জেলা, ৬৭টি উপজেলা, ৫৯টি পৌরসভা এবং ৫৬৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের
সবচেয়ে বড় জেলা হল নওগাঁ, যা বাংলাদেশের খাদ্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত।
রাজশাহী বিভাগের রাজধানী হল রাজশাহী শহর, যা ফলের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে আম ও
লিচুর জন্য। রাজশাহী বিভাগের আরেকটি বড় শহর হল বগুড়া, যা বাংলাদেশের
প্রথম সারির শহর হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী বিভাগের সংসদের আসন সংখ্যা ২৯টি, যা
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মোট আসনের প্রায় ১০%। রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের একটি
গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক, শিক্ষাগত, ঐতিহ্যবাহী এবং কৃষি অঞ্চল। আজকের আর্টিকেলে
আমরা আরো জানবো। রাজশাহী
বিভাগের জনসংখ্যা কত। রাজশাহীর সংসদে আসন কয়টি। রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে
বড় জেলা কোনটি। রংপুর বিভাগ কিসের জন্য বিখ্যাত। রংপুরের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা।
রংপুরের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। সবকিছু বিস্তৃত জানতে পুরো
আর্টিকেলটি পড়ুন।
রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত জেনে নিন
আজকের আমরা এই আর্টিকেলে জানব ,রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত। এ নিয়ে আমরা আজকে
বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন তাহলে শুরু করা যাক।রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা
২,৩৩,৫৩,১১৯ জন। এই বিভাগটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, যা
আয়তনে চতুর্থ বৃহত্তম এবং জনসংখ্যায় তৃতীয় জনবহুল বিভাগ। এই বিভাগে
আরোপরুন:রাজশাহী জেলার পৌরসভার নাম
আটটি জেলা, ৬৭টি উপজেলা, ৫৯টি পৌরসভা এবং ৫৬৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের
রাজধানী হলো রাজশাহী শহর, যা বাংলাদেশের প্রথম সারির শহরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এই
বিভাগটি প্রাচীন এলাকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি
প্রত্নস্থান দেখা যায়। এছাড়াও এই বিভাগে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আম, পান ও
মিঠা পানির মাছ চাষ হয়। রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ, সৌন্দর্যশালী ও
ঐতিহাসিক অঞ্চল।
রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসন কয়টি
আজকের আর্টিকেলে আমরা প্রথমে আলোচনা করেছি, রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত তা
নিয়ে। এখন আমরা আলোচনা করব রাজশাহী বিভাগের সংসদে আসন কয়টি। বিস্তারিত
জানুন।আপনার প্রশ্নের উত্তর হল রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসন মোট
২৯টিএকটিসংক্ষিপ্তরাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসন।রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের
মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি বিভাগ। এই বিভাগের মোট আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ
কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। এই বিভাগের মধ্যে মোট ৮টি জেলা এবং ৫২টি
উপজেলা রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহ হলো রাজশাহী, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,
জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ।রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসন
মোট ২৯টি। এই আসনগুলির মধ্যে ১৩টি রাজশাহী জেলার, ৭টি বগুড়া জেলার, ৪টি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার, ২টি জয়পুরহাট জেলার, ৬টি নওগাঁ জেলার, ৪টি নাটোর জেলার,
৫টি পাবনা জেলার এবং ৪টি সিরাজগঞ্জ জেলার। এই আসনগুলির নাম এবং বিস্তারিত তথ্য
নিচে দেওয়া হলো:রাজশাহী-১: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১৮ নং ওয়ার্ড সমূহ।
- রাজশাহী-২: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯ থেকে ৩০ নং ওয়ার্ড সমূহ।
- রাজশাহী-৩: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩১ থেকে ৪৫ নং ওয়ার্ড সমূহ।
- রাজশাহী-৪: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ থেকে ৫৪ নং ওয়ার্ড সমূহ এবং পবা উপজেলা।
- রাজশাহী-৫: বাগমারা উপজেলা।
- রাজশাহী-৬: চারঘাট উপজেলা এবং দুর্গাপুর উপজেলা।
- রাজশাহী-৭: গোদাগাড়ী উপজেলা, মোহনপুর উপজেলা এবং তানোর উপজেলা।
- রাজশাহী-৮: পুঠিয়া উপজেলা এবং বাগাতিপাড়া উপজেলা।
- রাজশাহী-৯: চারখানকুল উপজেলা এবং লালপুর উপজেলা।
- রাজশাহী-১০: নাটোর সদর উপজেলা।
- রাজশাহী-১১: বড়াইগ্রাম উপজেলা এবং নালডাঙ্গা উপজেলা।
- রাজশাহী-১২: গুরুদাসপুর উপজেলা এবং সিংড়া উপজেলা।
- রাজশাহী-১৩: আতঘরিয়া উপজেলা, ইসলামপুর উপজেলা এবং সাঁথিয়া উপজেলা।
- রাজশাহী-১৪: পাবনা সদর উপজেলা।
- রাজশাহী-১৫: বেরা উপজেলা এবং চাটমোহর উপজেলা।
- রাজশাহী-১৬: সুজানগর উপজেলা এবং বাঙ্গুরা উপজেলা।
- রাজশাহী-১৭: ইসলামপুর উপজেলা, আতঘরিয়া উপজেলা এবং সাঁথিয়া উপজেলা।
- রাজশাহী-১৮: বগুড়া সদর উপজেলা।
- রাজশাহী-১৯: শাহজাহানপুর উপজেলা, ধুনট উপজেলা এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা।
- রাজশাহী-২০: কাহালু উপজেলা এবং আদমদিঘি উপজেলা।
- রাজশাহী-২১: নন্দিগ্রাম উপজেলা, শেরপুর উপজেলা এবং শিবগঞ্জ উপজেলা।
- রাজশাহী-২২: নাটোর সদর উপজেলা।
- রাজশাহী-২৩: বড়াইগ্রাম উপজেলা এবং নালডাঙ্গা উপজেলা।
- রাজশাহী-২৪: গুরুদাসপুর উপজেলা এবং সিংড়া উপজেলা।
- রাজশাহী-২৫: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা।
- রাজশাহী-২৬: নাচোল উপজেলা এবং গোমস্তাপুর উপজেলা।
- রাজশাহী-২৭: শিবগঞ্জ উপজেলা।
- রাজশাহী-২৮: বোলা উপজেলা।
- রাজশাহী-২৯: জয়পুরহাট সদর উপজেলা, আক্কেলপুর উপজেলা এবং কালাই উপজেলা।
রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি
আমরা আজকের এই আর্টিকেলের একেবারে শুরুতেই আলোচনা করেছি। রাজশাহী বিভাগের
জনসংখ্যা কত এই নিয়ে, এখন আমরা আলোচনা করব রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা
কোনটি তাহলে বিস্তারিত জেনে নিনরাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা নওগাঁ
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই জেলাটির সর্বমোট
আয়তন হলো ৩,৪৩৫.৬৭ বর্গকিলোমিটার। এই জেলাটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। নওগাঁ
জেলাকে বাংলাদেশের ২৯ তম বৃহৎ শহরের মর্যাদা দিয়েছে।নওগাঁ জেলার ইতিহাস খুবই
প্রাচীন। এই জেলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার সোমপুর বিহার
অবস্থিত। এই বিহারটি ৮ম শতাব্দীতে পাল রাজাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই
বিহারটি বিশ্ব
ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া এই জেলায় মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর,
দুর্গাপুর, নালডাঙ্গা, লালবাগ ইত্যাদি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে।নওগাঁ জেলার
অর্থনীতি মূলত কৃষি ও গবাদি পশু নির্ভর। এই জেলায় চাল, গম, আখ, ডাল, তিল, সরিষা,
আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, কলা, আম, লিচু, কামরাঙ্গা, আমলকি, জাম, জামরুল,
বেল, বরই, কুল,
আঙুর, কাঠবাদাম, কাঁচা আমড়া, কাঁচা কলা, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কমলা, কাঁচা লেবু,
কাঁচা আমলা, কাঁচা আঙুর, কাঁচা কাঠবাদাম, কাঁচা বরই, কাঁচা কুল, কাঁচা আদা, কাঁচা
রসুন, কাঁচা মরিচ, কাঁচা তিল, কাঁচা সরিষা, কাঁচা আলু, কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা গম,
কাঁচা আখ, কাঁচা ডাল, কাঁচা চাল ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করা হয়।⁴ এই জেলাটি
বাংলাদেশের খাদ্যের ভাণ্ডার
হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এই জেলায় গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, শাল, মুরগি,
হাঁস, রাজহাঁস, বতখ, কবুতর, তোতা, ময়না, কাক, কৌও, শালিক, দোয়েল, বৌল, কোয়েল,
বুলবুল, চিল, শিকরা, বাজ, কাঠথোকরা, মুই, কাঁকড়া, আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।
রংপুর বিভাগ কিসের জন্য বিখ্যাত
আমরা আজকের এই আর্টিকেলের শুরু থেকে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি রাজশাহী বিভাগের,
রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত। রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসন কয়টি ইতিমধ্যে নিয়ে
বিস্তৃত আলোচনা করেছে উপরে। এখন আমরা আলোচনা করব রংপুর বিভাগ কিসের জন্য
বিখ্যাত।বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের আটটি জেলা নিয়ে গঠিত
রংপুর বিভাগ দেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে ২০১০ সালে ঘোষিত হয়। এই বিভাগের
রাজধানী রংপুর শহর, যা বাংলাদেশের একটি প্রধান শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও বাণিজ্য
কেন্দ্র। রংপুর বিভাগ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত,
যেখানে বেগম রোকেয়া, হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, আসাদুজ্জামান নূর সহ অনেক বিখ্যাত
ব্যক্তিত্বের জন্মস্থান।
এছাড়াও রংপুর বিভাগে অনেকগুলি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন তাজহাট রাজবাড়ি,
কারমাইকেল কলেজ, মিঠাপুকুর শালবন, পীরগাছা বারোইয়ারি মঠ, রংপুর জামে মসজিদ,
রংপুর জাদুঘর ইত্যাদি।রংপুর বিভাগ মূলত বেনারসি পল্লি, তামাক, ইক্ষু ও হারিভাঙ্গা
আমের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে প্রচুর ধান ও পাট উৎপাদন হয়। রংপুর বিভাগের
কৃষি ও পশুপালন
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। রংপুর বিভাগের মানুষেরা সাধারণত
সহজসাধ্য, আদর্শবাদী ও সহানুভূতিশীল। এখানের লোকসঙ্গীত, লোকনাট্য, শতরঞ্জি, বেগম
রোকেয়ার সাহিত্য ও ভাষণ রংপুর বিভাগের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে।রংপুর
বিভাগ বাংলাদেশের একটি সুন্দর ও
সমৃদ্ধ অঞ্চল, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্মৃতি, সাংস্কৃতিক
বৈচিত্র্য ও মানবিক মূল্য সমন্বিত ভাবে বিদ্যমান। এই অঞ্চলে ভ্রমণ করে আপনি
নিশ্চয়ই একটি অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
রংপুরের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা
রংপুরের মুক্তিযুদ্ধ: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয়রংপুর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি
জেলা যা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল। রংপুরের
মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরলস যুদ্ধ করে এলাকাটিকে মুক্ত
করেন। রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং রংপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের
নাম নিচে উল্লেখ করা হল।
রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে পাকিস্তানি
বাহিনী রংপুরে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে। রংপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাঙালি
নাগরিকদের হত্যা, ধর্ষণ, আগুন দেওয়া এবং অপহরণ করা হয়। রংপুরের সেনানিবাসে
বাঙালি সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের হত্যা করা হয়। ২৬ মার্চ ১৯৭১ রংপুরের
কার্মাইকল কলেজের ছাত্রদের নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সম্মিলিত
প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। এই প্রতিরোধে কার্মাইকল কলেজের ছাত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা
মোহাম্মদ আবদুল মালেক ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল মান্নান নিহত হন। ২৭
মার্চ ১৯৭১ রংপুরের বাঙালি পুলিশ,
ইপিআর, আনসার ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করে এবং রংপুর পুলিশ লাইনকে মুক্ত করেন। এই বিদ্রোহে পুলিশ সাব
ইন্সপেক্টর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ নিহত হন। ২৮ মার্চ ১৯৭১
রংপুরের বাঙালি সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের নেতৃত্বে রংপুরের
সেনানিবাসে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিদ্রোহ ঘটে। এই বিদ্রোহে
পাকিস্তানি বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রংপুরের বাঙালি সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের
অধিকাংশ পালিয়ে যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
রংপুরের বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রাচীন ও সুন্দর নগরী হলো রংপুর। এই নগরীটি
বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
রংপুরের নাম শুনলেই মনে পড়ে এর সৌন্দর্য, সমৃদ্ধি, শিক্ষা, সাহিত্য, কলা,
খেলাধুলা ও রাজনীতির বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। এই নগরীটি বাংলাদেশের অন্যতম
সমৃদ্ধ ও উন্নত নগরী
হিসেবে পরিচিত।রংপুরের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বগণরংপুরের সাথে জড়িত অনেক
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম আমাদের মনে আসে। তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির নাম এবং
কার্যক্ষেত্র নিচে উল্লেখ করা হলো:বেগম রোকেয়া: বাংলার মুসলিম নারী জাগরণের
অগ্রদূত, লেখিকা, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা
উপন্যাসকারী হিসেবে পরিচিত।
তার লেখা সুফলা, সুলতানা'র স্বপ্ন, আবরোধবাসিনী, মোটাবারী ইত্যাদি বাংলা
সাহিত্যের অমর সম্পদ।হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ: বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও
ষষ্ঠ সেনাপ্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনি ১৯৮২ সালে একটি সামরিক কুপের মাধ্যমে
শাসন জমানোর পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। তার শাসনকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি,
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন,
কৃষি, প্রযুক্তি ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন ঘটে।ড. ওয়াজেদ মিয়া:
বাংলাদেশের প্রথম পরমাণুবিদ, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি
কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম চেয়ারম্যান। তার কর্মক্ষেত্রে পারমাণবিক
পদার্থবিজ্ঞান, পারমাণবিক মেডিসিন, পারমাণবিক কৃষি ও পারমাণবিক পরিবেশ বিজ্ঞান
ছিল।আনিসুল হক: লেখক
নাট্যকার, সাংবাদিক ও কলামলেখক। তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনেক গ্রন্থ,
প্রবন্ধ, কলাম, নাটক, কবিতা ও অনুবাদ লিখেছেন। তার লেখা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ
জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার সংকলিত কলাম সমগ্র, যা বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ
করেো
শেষ কথা: প্রিয় পাঠক আজকের
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা জেনেছি, রাজশাহী বিভাগের জনসংখ্যা কত, রাজশাহী বিভাগের
সংসদীয় আসন কয়টি। রাজশাহী বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি। রংপুর বিভাগ কিসের
জন্য বিখ্যাত। রংপুরের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি উপরে। আশা করি আপনারা অনেক কিছু জানতেও শিখতে পেরেছেন। আজকের
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু আত্মীয়দের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url