হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করনীয় জেনে নিন
বর্তমান সময়ে হাই প্রেসার একটি মারাত্মক রোগ, আপনারা যারা হাই প্রেসার নিয়ে ভুগছেন, এবং হাই প্রেসার নিয়ে অনেক কৌতূহল তাদের জন্য হাই প্রেসার নিয়ে আজকের গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলে জানতে পারবেন। হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসার কমানোর খাবার।
তাই আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মন দিয়ে পড়ুন, কোন অংশ মিস করবেন না তাহলে অনেক কিছু জানতেও বুঝতে পারবেন না।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে হাইপ্রেসার একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ। হাই প্রেসার হলে মানুষের অনেক সমস্যা, হয়ে থাকে হাই প্রেসারের কারণে মানুষের স্ট্রোক হয় মানুষ মুহূর্তের মধ্যেই মারা যায়। হাই প্রেসারের কারণে মানুষ মারা যায় আমরা হাই প্রেসার এর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিনা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হাই প্রেসার এর সম্পর্কে। অনেক কিছু জানার চেষ্টা করব।
আজকে আমরা জানবো, হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়, হাই প্রেসার প্রতিরোধন নিয়ন্ত্রণের উপায়, হাই প্রেসার কমানোর খাবার, তাৎক্ষণিক প্রেসার কমানোর উপায়, ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করনীয়
হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি সাধারণ কিন্তু মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এটি প্রতিরোধ করা এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। এই আর্টিকেলে আমরা হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করনীয় নিয়ে আলোচনা করব।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করনীয়
প্রথমে শান্ত হয়ে বসুন বা শুয়ে পড়ুন। কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত নিঃশ্বাস নিন এবং আপনার শরীর ও মন শান্ত করার চেষ্টা করুন। আপনার রক্তচাপ পরিমাপ করুন। যদি আপনার রক্তচাপ ১৮০/১২০ মিলিমিটার হার্মান বা তার বেশি হয়, তাহলে এটি একটি জরুরি অবস্থা। এক্ষেত্রে আপনাকে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
যদি আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ মিলিমিটার হার্মান বা তার কাছাকাছি হয়, তাহলে এটি উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
যদি আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ মিলিমিটার হার্মান বা তার নিচে হয়, তাহলে এটি স্বাভাবিক রক্তচাপ। এক্ষেত্রে আপনাকে কোনো বিশেষ করণীয় নেই। তবে আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পরিমাপ করা এবং সুস্থ জীবনযাপন করা উচিত
হাই প্রেসার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপ বাড়াতে পারে। আপনার ওজন কমাতে হলে আপনার ক্যালরি ইনটেক কমানো এবং ক্যালরি বার্ন বাড়ানো উচিত।
আপনার খাবারে লবণের পরিমাণ কমান। বেশি লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়ে। প্রতিদিন আপনার খাবারে সোডিয়াম ইনটেক ২ দশমিক ৪ গ্রামের মধ্যেই রাখুন। লবণ বাদে আপনার খাবারে অন্যান্য মসলা বা হার্বস ব্যবহার করুন।
কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। কোলেস্টেরল রক্তনালীতে জমে যায় এবং রক্তচাপ বাড়ায়। ক্রিম, মাংস, ডিমের কুসুম, মাখন, ফ্রেঞ্জ ফ্রাইজ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।
হাই প্রেসার কমানোর খাবার
হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন অনুসরণ করা খুবই জরুরি।
হাই প্রেসার কমানোর জন্য কিছু খাবার ও পানীয় রয়েছে যেগুলো আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। এগুলো হলো-
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: পটাশিয়াম লবণের প্রভাব কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি মিষ্টি আলু, টমেটো, বীট, বেদানা, তরমুজ, কুমড়ো, মাশরুম ইত্যাদি খেতে পারেন।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য ভালো এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি চর্বিযুক্ত মাছ, বাদাম, চিয়া বীজ, তিসির বীজ, সয়াবিন ইত্যাদি খেতে পারেন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলঃ ভিটামিন সি রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হিসেবে আপনি কমলা, লেবু, জাম্বুরা, আমলকি, কাকতুয়া, বেল ইত্যাদি খেতে পারেন।
রসুনঃ রসুন রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেতে পারেন অথবা রান্নার সময় রসুন ব্যবহার করতে পারেন।
- ডিমঃ ডিম রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত নয়, শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
- এছাড়াও আপনি হাই প্রেসার কমানোর জন্য কিছু জীবনযাপনের পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন-
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে এবং হার্টের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত ওজনের কারণে রক্তচাপ বাড়ে।
- ধূমপান বন্ধ করুন। ধূমপান রক্তচাপ বাড়ায় এবং হার্টের জন্য ক্ষতিকর।
- কফি পান করা বন্ধ করুন। কফি পানের পর রক্তচাপ বাড়ে। তবে চা পান করতে পারেন, এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন করুন। মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়ায়। মেডিটেশন চিন্তা এবং উদ্বেগ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে।
হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত নয়
হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি সাধারণ কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য অসুখের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে। তাই হাই প্রেসার হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং কিছু খাবার বেশি করে খেতে হবে।
হাই প্রেসার হলে এড়িয়ে চলতে হবে এমন খাবারগুলো হলো
লবণঃ লবণের মধ্যে সোডিয়াম থাকে যা রক্তের আয়তন ও চাপ বাড়াতে পারে। তাই লবণের পরিমাণ কমিয়ে নিতে হবে। দিনে ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। বেশি লবণ যুক্ত খাবার যেমন বার্গার, পিজা, স্যান্ডউইচ, কোল্ড কাটস, ক্যানড সুপ এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।
চিনিঃ চিনি ওজন বাড়াতে এবং রক্তচাপ বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ফ্রুক্টোজ রক্তচাপের জন্য খারাপ। তাই চিনি যুক্ত খাবার যেমন প্রসেসড ডেজার্ট, ক্র্যাকার, গ্রানোলা বার, পিনাট বাটার এবং বেশি চিনি যুক্ত ফল এড়িয়ে চলতে হবে।
লাল মাংসঃ লাল মাংস বা প্রসেসড লাল মাংস রক্তচাপ বাড়াতে পারে। এছাড়া লাল মাংস পাচানের সময় কিছু যৌগ উৎপন্ন হয় যা রক্তচাপ আরও বাড়াতে পারে। তাই লাল মাংস যেমন গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, শুকনো মাংস, সসেজ এবং হ্যাম এড়িয়ে চলতে হবে।
চিনি যুক্ত পানীয়ঃ চিনি যুক্ত পানীয় যেমন সোডা, জুস, এনার্জি ড্রিংক রক্তচাপ বাড়াতে পারে। এছাড়া এগুলো ওজন বাড়াতে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। পানি, গ্রীন টি, তাজা ফলের রস বা লেবুর শরবত পান করা যেতে পারে।
- অ্যালকোহলঃ অ্যালকোহল রক্তচাপ দ্রুত বাড়াতে পারে। এছাড়া এটি ওজন বাড়াতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই অ্যালকোহল পান করা উচিত নয়।
- তাৎক্ষণিক প্রেসার কমানোর উপায়
- আমি আপনাকে কিছু ঘরোয়া উপায় সুপারিশ করতে পারি। তবে এই উপায়গুলো কোনো চিকিৎসার বিকল্প নয়, তাই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা জরুরি।
- হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে আপনি নিম্নলিখিত কিছু কাজ করতে পারেন:
- বিশ্রাম নিন। অতিরিক্ত পরিশ্রম অথবা চিন্তা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই যে কাজটি করছেন সেটা বন্ধ করে ফেলুন এবং শান্ত হয়ে বসুন।
- মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে ঠান্ডা লাগলে এটি করবেন না।
- টক জিনিস খান। লেবু, তেঁতুল বা আমলকির রস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে। এই জিনিসগুলো রক্তের পাইপের প্রসারণ বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তচাপ কমায়।
- রসুন খান। রসুন রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কাপ রসুনের রস খাওয়া ভালো।
- রক্তচাপ মাপার মেশিন ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে রক্তচাপের পরিমাণ জানতে সাহায্য করবে। রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০ এর উপরে হয়, তাহলে সেটা উচ্চ রক্তচাপ। এক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
- এই উপায়গুলো আপনি সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত চেষ্টা করতে পারেন। তারপরে যদি রক্তচাপ কমে না, তাহলে নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়া জরুরি।
- আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে আসবে। আপনার সুস্থ থাকার কামনা করি।
ওষুধ ছারা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ গ্রহণ করা প্রয়োজন, কিন্তু ওষুধের পাশাপাশি কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় অনুসরণ করলে রক্তচাপ কমানো যায়। এগুলো হলো-
সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণঃ অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপ বাড়াতে পারে, কারণ এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ওজন কমানোর জন্য সুস্থ খাদ্য গ্রহণ করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
লবণের পরিমাণ কমানো: লবণ রক্তের ন্যাট্রিয়াম মাত্রা বাড়ায়, যা রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই দৈনন্দিন খাবারে লবণের পরিমাণ কম রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ৬ গ্রামের চেয়ে কম লবণ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মদ্যপান এবং ধূমপান এড়িয়ে চলাঃ মদ্যপান এবং ধূমপান রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাই এই অভ্যাসগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়াতে পারে, কারণ এতে রক্তের অধিক অক্সিজেন চাহিদা হয়। তাই স্ট্রেস কমানোর জন্য শান্তি ও সুখের কাজ করা, যোগা বা মেডিটেশন করা, প্রিয়জনদের সাথে কথা বলা ইত্যাদি উপায় অনুসরণ করা উচিত।
সুস্থ খাবার গ্রহণঃ রক্তচাপ কমানোর জন্য সুস্থ খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফল, শাকসবজি, দুধ, দই, মাছ, চিকেন, আকলি তেল, বাদাম, আখরোট ইত্যাদি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তেল, মাখন, চিনি, মিষ্টি, মাংস, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি ওষুধ ছারা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবেন। তবে এই উপায়গুলো ওষুধের পরিবর্তে নয়, ওষুধের সঙ্গে অনুসরণ করতে হবে। আপনার রক্তচাপ নিয়মিত মাপা এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ব্যায়াম
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন একটি সাধারণ কিন্তু মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ ও চোখের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। একটি গবেষণার অনুযায়ী, নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন ঃ গরম জলে স্নান করার উপকারিতা জেনে নিন
ব্যায়াম করলে শরীরের ক্যালোরি খরচ হয়, ওজন কমে, রক্তের গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই সব কারণে রক্তচাপ কমে যায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত? এটি নির্ভর করে রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা ও রক্তচাপের মাত্রা উপর। তবে সাধারণত দুই ধরনের ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে কার্যকর।
এগুলো হলো অ্যারোবিক ব্যায়াম ও আইসোমেট্রিক ব্যায়াম। অ্যারোবিক ব্যায়াম হলো যে ধরনের ব্যায়াম যেখানে শরীরের অংশগুলো ব্যাপকভাবে চলাচল করে এবং শরীরের অক্সিজেন ব্যবহার বাড়ে। এই ধরনের ব্যায়াম করলে হৃদপিন্ডের কাজ ভালো হয়, রক্তনালীর স্থিতি উন্নত হয় এবং রক্তচাপ কমে।
অ্যারোবিক ব্যায়ামের উদাহরণ হলো হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নাচা, টেনিস খেলা ইত্যাদি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম করা উচিত। আইসোমেট্রিক ব্যায়াম হলো যে ধরনের ব্যায়াম যেখানে শরীরের অংশগুলো স্থির থাকে কিন্তু চাপ প্রয়োগ করে।
এই ধরনের ব্যায়াম করলে শরীরের মাংসপেশি শক্ত হয়, রক্তের প্রবাহ ভালো হয় এবং রক্তচাপ কমে। আইসোমেট্রিক ব্যায়ামের উদাহরণ হলো ওয়াল স্কোয়াট, প্ল্যাঙ্ক, লেগ লিফ্ট, হ্যান্ডগ্রিপ ইত্যাদি। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট আইসোমেট্রিক ব্যায়াম করা উচিত।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যায়াম করার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন
- ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- ব্যায়ামের আগে ও পরে রক্তচাপ মাপতে হবে।
- ব্যায়ামের সময় শরীরের অবস্থা ও সাঁজেবাঁজে খেয়াল রাখতে হবে।
- ব্যায়ামের সময় শরীরে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, চাপচাপি, বুকের ব্যথা, মাথা ঘুরা বা অস্বস্তি বোধ হলে তাৎক্ষণিক ব্যায়াম বন্ধ করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
প্রশ্নঃ হঠাৎ প্রেসার বেশি হয়ে গেলে কি খেতে হবে?
উত্তরঃ কচি ডাবের পানি, সাগর অথবা সপরি কলা, কাচা হোক অথবা পাকা টমেটো খেতে হবে ইত্যাদিতে পটাশিয়াম থাকে। এক অথবা ২ কাপ দুধ খাওয়া যেতে পারে দৈনিক। তৈলাক্ত মাছ খাবেন না দয়া করে। আরও খেতে পারেন ফলমূল যেমন পিয়াড়া, বেদানা, পাকা পেঁপে, এই ফলে যেকোনো এক ধরনের ফল দৈনিক নিয়ম করে খাবেন।
প্রশ্নঃ সাধারণত নরমাল ব্লাড প্রেসার কত উচিত?
উত্তরঃ প্রাপ্ত বয়স্ক শরীরের তাপমাত্রার মত অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন। সাধারণত রক্তচাপ থাকা উচিত ১২০ মিলিমিটার উপরের এবং নিচের ৮০ মিলিমিটার । ফাইনালি ১২০/৮০ মিমিপারদ নিরাপদ।
আরও পড়ুন ঃ ঘুম থেকে উঠলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হয় কেন?
প্রশ্নঃ উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে কমন ঔষধ কোনটি?
উত্তরঃ সবচাইতে কমন ও জনপ্রিয় ঔষুধ ACE ইনহিবিটর লিসিনোপ্রিল (প্রিনিভিল এবং জেস্ট্রিল), ডিএইচপি ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার অ্যামলোডিপাইন (নরভাস্ক), বিটা-ব্লকার মেটোপ্রোলল (লোপ্রেসার), এবং থিয়াজাইড মূত্রবর্ধক হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড।
প্রশ্নঃ উচ্চ রক্তচাপ বলতে কি বুঝি আমরা
উত্তরঃ সাধারণত চাপ ১২০/৮০ বা কম ও হতে পারে। পর্যায় 2 উচ্চ রক্তচাপ 140/90 বা তার বেশি । আপনি যদি একবারের বেশি রক্তচাপ অনুভব করেন ১২০/৮০ বা তার চাইতে বেশি রিডিং পান, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা নিন।
প্রশ্নঃ উচ্চ রক্তচাপ স্টেজ ২ কি? জানুন
উত্তরঃ ২ উচ্চ রক্তচাপ 140/90 mmHg বা তার উপরে রক্তচাপ হিসাবে বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপ আপনাকে হৃদরোগের এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর প্রধান কারণ সবচাইতে বেশি।
লেখক এর কথা
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক উপকার হয়েছে ।হাই প্রেসার হলে কি করনীয় কি করবেন হাই প্রেসার নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উত্তর রক্তচাপ নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে। পেরেছেন অনেক কিছু শিখতে বুঝতে পেরেছেন আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে ।আপনার বন্ধু আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url