ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠকগণ আপনি এখানে ড্রাগন ফল এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্মন্ধে জানতে পারবেন ফলটি খেলে কি কি উপকার আছে এবং কোন সময় খেতে হয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
ড্রাগন ফল দেখতে কেমন হয়।




আমরা অনেক সময় ড্রাগন ফল কেমন তা সম্মন্ধে জানতে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখি কেমন তবে সব কিছু জানতে পারি না। এই পোষ্টটি পড়লে আপনি ড্রাগন ফলের বিস্তারিত আলোচনা বুঝতে পারবেন।

ভূমিকা

ড্রাগন ফল এক প্রকার জাতীয় হয়ে থাকে। এই ফলটি পিটাইয়া নামে পরিচিত, এই ফলের প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল আমেরিকাতে। এরপরে ২০০৭ সালে ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ এনে চাষ করা হয়। এই ফলটির গাছ পাঁচ ফুট হয়ে থাকে আবার সাড়ে পাঁচ ফিট হয়ে থাকে। 

এই ফলটি আমাদের বাংলাদেশ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যা বাজারে এবং ফুটপাতে বিক্রি হয়ে থাকে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

এই ড্রাগন ফলে অনেক উপকারিতা আছে তো এখন উপকারিতার কথা বলছি এক এক হজম বৃদ্ধি শক্তি বৃদ্ধি করে দুই শরীরে ওজন কমায় তিন হার্টের জন্য ভালো চার ইউনিয়ন সিস্টেম সমর্থন করে পাঁচ ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ছয় সাতটি বিধি প্রচার বা ভালো করে চোখের জন্য ভালো।
 
এটা কোন ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সেশন আছে এবং ভালো পরিমাণ ক্যালসিয়ামও আছে। যাদের ক্যালসিয়াম ঘাটতি আছে তারাও এই ফলটি খেতে পারে। 

বাচ্চাদের জন্য ভিটামিন এ আরো বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা এই ফলটি করে থাকবে। ওমেগা থ্রি আমাদের শরীরে থাকে না অন্য উপায়ে এটা জোগাড় করতে হয় যা এই ফলটিতে আমরা পেতে পারি।

ড্রাগন ফল খেলে কি রক্ত লাল হয় ?

চীনের মানুষেরা ড্রাগন ফলকে ড্রাগন মুক্তার আগুন ডাবল বলে অভিহিত প্রায় করে থাকে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া এই ফলটি ড্রাগন স্টপিক বলে ডেকে থাকে। আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়েছে এবং স্বাস্থ্য উপকৃত প্রচুর। 

এই ফলে আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদন করে থাকে তাই অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য এ ফলটি খুবই উপকৃত।

ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা কালো বা লাল হয় ?

এই ড্রাগন ফলটি ভিতরে লাল কোনটা সাদা আবার অনেকটা হলুদ হয়ে থাকে যা দেখতে খুব আকর্ষণীয় রং। এই ফল খেলে মনে করে অনেক সময় অনেক জনা এটার পায়খানা করলে এটার রং লাল হয়ে থাকতে পারে বা সাদা হতে পারে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

এই ফলের এর ফলের অপকারিতা খুবই কম তারপরও বলছি যাতে অ্যালার্জি আছে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে হজম শক্তি অনুভব করতে পারে যেমন ডায়রিয়া বা ফোলা এতে চিনির পরিমাণ একটু বেশি আছে প্লাস এই ফলের দামটা হচ্ছে অনেক আর এটি সীমিত পাওয়া যায়।

ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি

আমরা মূলত সবাই জানি এই ড্রাগন ফলটি বিদেশি ফল বর্তমানে এই ফলটি চীনে সবাই খেয়েছে এই ফলটি দেখতে অবুঝ হলেও বেশ চমৎকার অনেকে এই নিয়মিত ফলটি খেয়ে থাকে এই ফলটি একটু দাম বেশি।

কোন ফল থেকে আবার এর থেকেও অনেক ফলে অন্য দাম বেশি অন্যফলের দাম বাংলাদেশে ২৫০ থেকে ৩৫০ ভিতরে পাওয়া যায় আরও বড় হলে ৪০০ টাকা ৪০০ টাকা কেজি পড়ে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

গ্রীষ্মকালীন সময়ে এই ফলটি পাওয়া যায় বাহারি রকমের ফল পাওয়া যায় ডিসপ্লের সময় তবে এই ফলটি সকাল বেলায় খেলে ভালো হয় রাত্র খেতে পারেন তবে প্রতিদিন না।

লেখকের মন্তব্য এবং শেষ কথা

আমি আশা করছি এই পোষ্টটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন যদি না পড়ে থাকেন আরেকবার নতুন করে পড়ে নিয়েন। ড্রাগন ফল খেলে অপরিকতার চেয়ে উপকারিতা বেশি। ড্রাগন ফলের দাম একটু বেশি হওয়াতে প্রতিদিন খেতে পারি না। যদি প্রতিদিন না পারি তাইলে সপ্তাহে একদিন খাবার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url