কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত সেরা স্থানগুলি এবং ভ্রমণ গাইডলাইন

প্রিয় পাঠক আপনি যদি কক্সবাজার সম্বন্ধে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আপনি পাবেন কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, কিভাবে কক্সবাজার যাবেন আর কোথায় থাকবেন সব বিষয়ে আমি আলোচনা করেছি।

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত ১১ টি স্থান এবং ভ্রমণ গাইডলাইন

নিচে আপনাদের জন্য কক্সবাজার সম্বন্ধে বা জানার জন্য শীর্ষস্থানীয় অবস্থানগুলো তুলে ধরেছি যা আপনার জন্য অনেক সাহায্যকারী পথ দেখাবে।

কক্সবাজার কোথায় অবস্থিত

কক্সবাজারটি আসলে কোথায় অবস্থিত আমাদের সবারই প্রশ্ন? যেমন সীমানা উত্তর পাশে চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ পাশে বঙ্গোপসাগর পূর্বে বান্দরবান জেলা মায়ানমারের আরকান রাজ্য এবং নাফ নদী, পশ্চিম পাশে বঙ্গোপসাগর। কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম অনেক বড় সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১১ জেলার মধ্যে সপ্তম আরো হচ্ছে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৬ তম জেলা। 

রয়েছে পার্বত্য অঞ্চল এবং অর্ধেকটা রয়েছে দ্বীপাঞ্চল। আমাদের এই সমুদ্র সৈকতটি দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার, এই পুরো সৈকত জুড়ে আপনি কোন কাদাযুক্ত মাটি পাবেন না বালু আর বালু।

কক্সবাজার নামের ইতিহাস

কক্সবাজার জেলার সংক্ষিপ্ত নামকরণের ইতিহাস আমি বর্ণনা করছি আপনাদের জন্য। আমাদের এই বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জেলা হচ্ছে কক্সবাজার নয়ন ভর্তি দৃষ্টিনন্দন চোখে লাগার মতন বাংলাদেশের জেলার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজারের নামকরণের পিছনে ছোট্ট একটি ইতিহাস রয়েছে প্রাচীন সালে এর নাম ছিল পালংকী তাই এটি পেনুয়া নামে পরিচিত ছিল একসময়। 

আশেপাশের এলাকাগুলো একসময় হলুদ ফুলে ঝকমক করত। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে এখানে ইংরেজি অফিসার ক্যাপ্টেন হেরাম কক্স নামে একজন ছিল। তখন থেকে বলা হত কক্স সাহেবের বাজার এই থেকেই নামকরণ হয় কক্সবাজার নামের উৎপত্তি পৃথিবীর মধ্যে দীর্ঘতম সৌন্দর্য প্রাকৃতিক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত তা আমরা সবাই একটু হলেও জানি তারপরও বলছি বিশ্বের সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত এবং অনেক অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্রস্থল। বিশ্বের সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত হওয়াতে কক্সবাজার এজন্যই বিখ্যাত তবে শুধু সমুদ্র সৈকতের জন্য না এখানে হরেক রকম বিশেষ কিছু খাবার আছে। 

সমুদ্র সৈকত ছাড়াও আরো অনেক সমুদ্র বীজ রয়েছে এবং আরো আশেপাশে দর্শনীয় স্থান রয়েছে, এই সব মিলিয়ে বলা যায় কক্সবাজার বিখ্যাত।

কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবার

কক্সবাজার যেতে গিয়ে এই খাবার গুলো রাস্তার পাশে ভেজে বিক্রি করা হয় আরো খাওয়ার পাওয়া যায় ফ্রাই করা চিংড়ি মাছ, টুনা মাছ, কাকড়া, জেলিফিশ, অক্টোপাস ইত্যাদি।

কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২৪

বাংলাদেশের অনেক পর্যটন কেন্দ্রস্থল আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কক্সবাজার বাংলাদেশ এর অনেক প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়তই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করে থাকে। ঢাকা থেকে বাসে করে যেতে হলে বাস ভাড়া উল্লেখ করা হলো। গ্রীন লাইন পরিবহন স্লিপার ১৬০ থেকে ২৫০০ টাকা নিয়ে থাকে, সোহাগ পরিবহন ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা নিয়ে থাকে। 

দেশ ট্রাভেলস ১৮০০ টাকা মধ্যে, এনা পরিবহন ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা, , সেনমাটিন পরিবহন পনেরশো টাকা, ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা নিয়ে থাকে, ২০০০ টাকা। রয়েল কোচ ১৫ থেকে ৭০০ টাকা, সে যদি ট্রাভেলস ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা, সৌদিয়া কোচ সার্ভিস থেকে বারোশো টাকা। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের ব্যবস্থাও আছে এবং এর মাধ্যমে যাওয়া যায়।

কক্সবাজারের কিছু হোটেলের ঠিকানা

কক্সবাজার ভ্রমন করতে গিয়ে থাকার প্রয়োজন পড়ে সময়ের ব্যবধানে ভাড়া কম এবং বেশি হয়ে থাকে তাই কিছু হোটেলের নাম এবং ঠিকানা দেয়া হলোঃ
  • হোটেল নামঃ সিগাল হোটেল
  • হোটেল ঠিকানাঃ হোটেল মোটেল জোন, সমুদ্র সৈকত
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +88 0341 62480-90
  • হোটেল নামঃ লং বিচ হোটেল
  • হোটেল ঠিকানাঃ 14 কলাতলী, হোটেল-মোটেল জোন
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +88 0341 51843-6
  • হোটেল নামঃ মহাসাগরের স্বর্গ
  • হোটেল ঠিকানাঃ 28 – 29, হোটেল মোটেল জোন, কলাতলী
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +88 09619 675 675
  • হোটেল নামঃ রয়্যাল টিউলিপ হোটেল
  • হোটেল ঠিকানাঃ জালিয়াপালং, ইনানী, উখিয়া
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 34152666-80
  • হোটেল নামঃ এক্সোটিকা সাম্পান
  • হোটেল ঠিকানাঃ মেরিন ড্রাইভ পয়েন্ট
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1876 000022
  • হোটেল নামঃ হোটেল কল্লোল
  • হোটেল ঠিকানাঃ হোটেল মোটেল জোন, কল্লোল পয়েন্ট
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 341 64748
  • হোটেল নামঃ সি কক্স রিসোর্ট
  • হোটেল ঠিকানাঃ New Beach Rd
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1815 014840
  • হোটেল নামঃ ইকরা বিচ হোটেল
  • হোটেল ঠিকানাঃ মেইন রোড, কলাতলী
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1751 552517
  • হোটেল নামঃ হোটেল কোস্টাল পিস
  • হোটেল ঠিকানাঃ বাড়ি-৬, ব্লক-বি, কলাতলী রোড
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1755 521797
  • হোটেল নামঃ কক্স টুডে
  • হোটেল ঠিকানাঃ প্লট-৭, রোড-০২, হোটেল মোটেল জোন, কলাতলী
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1755 598449
  • হোটেল নামঃ সায়েমান বিচ রিসোর্ট
  • হোটেল ঠিকানাঃ মেরিন ড্রাইভ রোড, কলাতলী
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 9610 777 888
  • হোটেল নামঃ হোটেল নিশোরগো
  • হোটেল ঠিকানাঃ প্লট নং 492 মেরিন ড্রাইভ রোড
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1851 703701
  • হোটেল নামঃ হেরিটেজ হোটেল
  • হোটেল ঠিকানাঃ 173-1, বাইপাস রোড, কলাতলী সার্কেল
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 341 52611
  • হোটেল নামঃ হোটেল সি ক্রাউন
  • হোটেল ঠিকানাঃ মেরিন ড্রাইভ, কলাতলী নিউ বিচ
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1833 331703
  • হোটেল নামঃ ডিভাইন ইকো রিসোর্ট
  • হোটেল ঠিকানাঃ কোলাতলী সার্কেলের কাছে, ডিভাইন সানসেট বিচ
  • মোবাইল/ লিফোন নম্বরঃ +880 1972 090 950

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহঃ

সেন্টমার্টিন

বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণে শত্রু বর্গ কিলোমিটার একটি ছোট্ট ক্ষুদ্র দ্বীপ স্থানীয় ভাষায় সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে সবাই ডাকে। অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত এই ছোট্ট দীপ্তিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এদিকে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকাশের সাথে সমুদ্রের নীল রঙের জলের বিশাল মিতালী।


সারি সারি নারিকেল গাছ যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে ভ্রমণ প্রিয় মানুষদেরকে আকর্ষণ করে। জানাযায় ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দের দিকে কিছু সংখ্যক বাঙালি এবং রাখাই সম্প্রদায়ের এই দিবে বসতি স্থাপন করতে আসে। ওইখানে ১৩ টি পরিবার বসতি স্থাপন করে আর উত্তরাংশ দিকে বসবাস করত যা এখনো করে থাকে। 
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফল এর উপকারিতা 
এই সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ৬৭ প্রজাতির পূবাল রয়েছে, ১৯০ প্রজাতির শামুক ঝিনুক রয়েছে, ৫৪ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল রয়েছে, তাছাড়াও ২০ প্রজাতির জন্য পাই প্রাণী বাস করে। অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে কাঁকড়া কচ্ছপ শীলকাতরা লবস্টার রয়েছে, মাছের মধ্যে লাল মাছ টুনা মাছ রয়েছে। সেনমার্টিন দ্বীপে আগের ট্রলারে করে যেতে হতো তবে এখন জাহাজের মাধ্যমে যাওয়া যাচ্ছে।

মহেশখালী

মহেশখালী জেলাটি একটি পাহাড়ি দ্বীপ কক্সবাজার থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে এর অবস্থান ১৮৫৮ সালে গড়ে ওঠে এই দ্বীপটি এখানে পাওয়া যায় শুটকি, চিংড়ি এবং মুক্তা উপাদান। জনশ্রুতি এই দ্বীপটি ১৫৫৯ সালে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে মূল ভূখণ্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি সৃষ্টি হয়েছে। 


২০০ বছর আগে বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর নাম থেকে এ জায়গার নামকরণ করা হয়। যা এখন মহেশখালী দ্বীপে নামে পরিচিত। মহেশখালী দীপ্তি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। এই দিবে দেখতে পাবেন আদিনাথ মন্দির এখানে প্রচুর পর্যটনদের আকৃষ্ট করে থাকে, এখানে চলতি পথে দেখতে পাবেন পান গাছের বাগান, লবণের মাঠ ওসখন্ড মন্দির।

ইনানী সমুদ্র সৈকত


কক্সবাজার হতে প্রায় ২৩ কিলোমিটার এবং হিমছড়ি থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে ইনানী সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতে বিকেল বেলায় পর্যন্ত কম থাকে। এবিতে যাবার সময় হিমছড়ি পাহাড়, সমুদ্রটির, নারিকেল এবং ঝাউবন গাছের দেখা মিলে।

হিমছড়ি


হিমছড়ি বাংলাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জেলায় এটি অবস্থিত। প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান এর একপাশে রয়েছে সমুদ্র সৈকত অন্য পাশে রয়েছে সবুজ ঘেরা অনেক বড় পাহাড়। সবুজে ঘেরা হিমছড়ি পাহাড় সেখান থেকে একটু দূরে গেলেই দেখা পাওয়া যায় পাহাড়ি ঝরনা আরো একটি সুন্দর জিনিস রয়েছে ইকোপার্ক।

ছেঁড়া দ্বীপ

ছেঁড়া দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণের ভূখণ্ডে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে দূরত্ব প্রায় সারে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে এখানকার স্থানীয় মানুষরা ছেঁড়াদিয়া নামে ডাকত। এইছড়া দ্বীপটি চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে অবস্থিত এবং বঙ্গোপসাগরের নাফ নদীর সামনে অবস্থিত।


এ দিকটিকে টর্ন আইল্যান্ড বলে থাকে এখানে প্রবাল প্রাচীর এবং অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা ভরা আরো রয়েছে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক পাখির কলা হল, এখানে রয়েছে ৩৩ হাজার বছরের পুরনো প্রবালের ফাঁসিল, এখানে প্রচুর পরিমাণ অতিথি পাখি এসে থাকে এতে বহুগুণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

সোনাদিয়া দ্বীপ


সোনাদিয়া দ্বীপটি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই দিকটি কক্সবাজার থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের দিকে অবস্থিত। এদিকটি বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর অন্তর্ভুক্ত। এখানে দেশে প্রধান শুটকি মাছ এর উৎপাদন কেন্দ্র আরো এখানকার ম্যানগ্রোভ বন গাড়ো সবুজে ভরা।

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের অনেক বড় ফিস একুরিয়াম যা আমরা টিভিতে ডিসকভারি চ্যানেলে যেমন দেখতে পাই ডুবুরি হয়ে পানির নিচে ঘুরে বেরিয়ে মাছ দেখাতো। সেরকমই একুরিয়াম এর ভিতর ঢুকে গিয়ে জীবন্ত মাছ চলাফেরা এবং লাফালাফি দেখতে পাওয়া যায় অপরূপ দৃশ্য। 


একুরিয়ামে ভিতরে গেলে মনে হবে আপনি সমুদ্রের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপনার মাথার উপর দিয়ে এবং আশেপাশ দিয়ে বিশাল আকৃতির মাছ লাফালাফি করছে। এই একুরিয়ামে ৩০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে টুনা মাছ, আর মাছ, কোরাল মাছ, চিংড়ি মাছ, বাটা মাছ এবং আরো যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না।

আরো রয়েছে কাঁকড়া, সমুদ্র সৈকত দেখতে গিয়ে সবাই এ জায়গায় যাই যা বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দেশের বাইরে গেলে সাধারণত এত বড় একুরিয়াম দেখা পাওয়া যায় যা আমরা এখন বাংলাদেশেই দেখতে পাচ্ছি। রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড এই একুরিয়াম টি বাংলাদেশের গর্ব।

সুগন্ধা বিচ কক্সবাজার

কক্সবাজারে যতগুলো সমুদ্র সৈকত রয়েছে তার মধ্যে সুগন্ধা বিচে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হয়ে থাকে তার কারণ বিচের কাছেই ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায়। এই বিচে অনেক রকম রাইড রয়েছে যেমন চার চাকার হোন্ডা, পানিতে স্পিডবোর্ড এবং ঘোড়া আরো ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফার। আপনারা যদি ছবি তুলতে চান তাহলে প্রথমেই একটু দাম দর করে নিয়ে এবং বলে দিবেন ছবি বেছে নেব এবং দাম দিব তিন থেকে পাঁচ টাকা। 



যারা এখানে ঘুরতে আসে তাদের জন্য রয়েছে লকার ব্যবস্থা। এটা সরকারিভাবেই ব্যবস্থা করা হয়েছে 40 থেকে 50 টাকা নেয় আপনার জুতা স্যান্ডেল মোবাইল, প্যান্ট রাখার জন্য গোসল করার ব্যবস্থা এবং গণসৌচাগার। তারপর তারপরে রয়েছে মসজিদ, ঝাউবন সচেতন মূলক বলে রাখি যখন কোন মানুষ থাকবে না তখন যা বলে যাবেন না। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে এখানে।

রামু রাবার বাগান

কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার পাহাড় ও সমান ভূমির সমন্বয়ে রামুর বাগান স্থানটি অবস্থিত। ১৯৬০ থেকে ৬১ সালের দিকে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের সাহায্যে রামুর বাগানে রাবার চাষাবাদ শুরু হয়। অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়টিলা সমান পাহাড়ের মাঝে প্রায় ২৭০০ একর জমি নিয়ে আমর বাগান। 


প্রথমের দিকে প্রায় ৫৮ হাজার টি রাবার গাছ থাকলেও এখন প্রায় এক লাখ ৫০০০০ টি গাছ রয়েছে। এই বাগান থেকে বছরে ২ লাখ ৫০ হাজার কেজি রাবার কস উৎপাদিত করা হয়। আমাদের এই যান্ত্রিক শহরে থাকে একটু সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। 

এই বাগান থেকে খুবই অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে এ রামুর বাগান। এবার আমি ঢুকতে কোন বা কারো বাধা নিষেধ নেই তবে এই বাগানে চলাফেরা করার সময় কয়েকজন সহকারে যাবেন। অনেক বড় বাগান হওয়াতে একটু গা ছমছম করে, তবে কোন ভয় নেই।

লামাপাড়া খিয়াং

লামাপাড়া খেয়ান কক্সবাজার জেলার ফতেখারকুল শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বা খালি নদীর কাছে লামাপাড়া খেয়ান জায়গাটি অবস্থিত। প্রায় ১৯ শতকের দিকে প্রথম দশকে থু অং গিয়াও চৌধুরী নামের একজন এইখান স্থাপন করেন। 


বাংলাদেশের বৃহৎ দ্বিতীয় পিতল দ্বারা নির্মিত এই বুদ্ধ মূর্তিটি মার্বেলের মঞ্চে স্থাপন করা আছে। এই মন্দিরটি স্থাপন টি সবাইকে মনোমুগ্ধ করে। কক্সবাজার জেলার প্রায় সব থানাতেই এধরনের খেয়াল চোখে পড়বে আপনাদের। দেখি আন্টি কিছুসংখ্যক রাজকীয় মিস্ত্রি দিয়ে তৈরি করা হয়।

বার্মিজ বাজার


কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে অটোতে করে শহরের মার্কেটে যাওয়া যায় সেখানেই বার্মিজ মার্কেট আছে ওই মার্কেটে বার্মিজ কাপড়, জুতার স্যান্ডেল এবং আচার চকলেট পাওয়া যায়। মার্কেটে মেয়েরাও ব্যবসা করে থাকে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়েছেন যদি না পড়ে থাকেন আবার একটু পড়ে নিয়েন। আশা করি আমার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। এ ধরনের তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন আর এ ধরনের আরো লেখা পাবার জন্য ফলো করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেনি মেমোরি; রি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url